ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রপুঞ্জে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা নিন্দাপ্রস্তাব সমর্থন করেনি চিন। এ বার জি-২০ রাষ্ট্রগোষ্ঠী থেকে রাশিয়াকে বহিষ্কারের উদ্যোগের সরাসরি বিরোধিতা করল শি জিনপিং সরকার।
বুধবার চিনা বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিম কূটনৈতিক স্তরে মস্কোর পাশে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করে বলেন, ‘‘জি-২০ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার প্রধান মঞ্চ। রাশিয়া তার একটি গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরাষ্ট্র। কোনও সদস্যের অন্য সদস্যকে বহিষ্কার করার কোনও অধিকারই নেই।’’
ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে সেনা অভিযানের ঘোষণা করার পর থেকেই মস্কোর উপর একের পর এক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপানো শুরু করেছে আমেরিকা ও তার পশ্চিমের বন্ধুদেশেরা। রাশিয়ার অর্থনীতিকে আরও বড় ধাক্কা দেওয়ার লক্ষ্যে এ বার জি-২০ থেকে রাশিয়াকে বহিষ্কারের তোড়জোড়ও শুরু হয়েছে।
ইউক্রেইনে হামলার প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়াকে বিশ্ব অর্থনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার লক্ষ্যে এরই মধ্যে দেশটির ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পশ্চিমা দেশগুলো।
এসব নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আছে মস্কোকে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বার্তা পাঠানোর সুপরিচিত নেটওয়ার্ক সুইফট থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া, রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেনে বিধিনিষেধ আরোপের মতো ব্যবস্থাও।
“রাশিয়া জি-২০ এর অংশীদার থাকার উপযুক্ত কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছে। রাশিয়া যদি সদস্য থাকে, তাহলে এটি দিন দিন কম দরকারি একটি সংগঠনে পরিণত হবে,” রয়টার্সকে বলেছে শিল্পোন্নত ৭ দেশের জোট জি-৭ এর উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্র।
চলতি সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ব্রাসেলসে মিত্রদের সঙ্গে বৈঠকে রাশিয়াকে জি-২০ থেকে বের করে দেওয়ার জন্য চাপ দেবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সুলিভান হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি আন্তর্জাতিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে রাশিয়ার ব্যবসা স্বাভাবিকভাবে চলতে পারে না।”