গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত প্রায় ৩৪০০ জন। ২০২০ সাল থেকে দেশ জুড়ে এই গতিতে কখনও করোনা বাড়েনি চিনে। ফলে ঘনাচ্ছে উদ্বেগ। প্রশ্ন উঠছে, শি জিনপিং সরকারের ‘কোভিড-শূন্য’ রণকৌশল কি কাজে দিচ্ছে না?
জানা গিয়েছে কোভিডের বাড়বাড়ন্তের জন্য শেনজেন শহরের একাধিক বিধিনিষেধ আরোপিত হয়েছে। ইউরোপ এবং চিনে ফের একবার দাপট দেখাচ্ছে করোনাভাইরাস। কিছুদিন আগেই ৯ মিলিয়ন জনবসতিপূর্ণ চাংচুন শহরে ঘোষণা করা হয়েছিল লকডাউন। এবার শেনজেন শহরের কোভিড গ্রাফ নিয়ন্ত্রণেও একই পথে হাঁটল শি জিনপিং সরকার।
সেখানে বাসিন্দা সংখ্যা ১৭ মিলিয়ন অর্থাৎ ১ কোটি ৭০ লাখ। এই শহরে সমস্ত ব্যবসা আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অত্যন্ত প্রয়োজন না পড়লে বাড়ি থেকে ওই শহরের বাসিন্দাদের বার হওয়ার উপরেও জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। অত্যাবশ্যক পণ্য ছাড়া সমস্ত দোকানপাতিও আপাতত বন্ধ। ওই শহরের সমস্ত বাসিন্দাদের কোভিড টেস্ট করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘আজ থেকে সব মৃত্যুর দায় ন্যাটোর’, ক্ষোভ উগরে দিলেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি
বস্তুত, গত এক দিনের মধ্যে গোটা চিনে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। সারা দেশের অন্তত ১৮টি প্রদেশে ডেল্টা ও ওমিক্রন স্ট্রেনের দাপটে সংক্রমণের ‘ক্লাস্টার’ ধরা পড়েছে। শাংহাইয়ে স্কুল বন্ধ। প্রযুক্তি ক্ষেত্রের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র শেনঝেন থেকে শুরু করে দেশের উত্তর-পূর্বের একাধিক শহর জুড়ে বলবৎ রয়েছে লকডাউন। উত্তর-পূর্বে সংক্রমণের কেন্দ্র জিলিন শহরে গত কালই আংশিক লকডাউন ছিল। আজ উত্তর কোরিয়ার সীমান্তবর্তী ইয়ানজি-র প্রায় সাত লক্ষ বাসিন্দাকে সারা দিন ঘরবন্দি থাকতে হয়েছে। আরও অন্তত তিনটি ছোট শহর মার্চের গোড়া থেকেই তালাবন্ধ।
২০১৯ সালের শেষে চিনেই প্রথম ধরা পড়ে করোনাভাইরাস। সেই ইস্তক ক্রমাগত লকডাউন, কড়াকড়ি, গণহারে করোনা পরীক্ষা করানোর মতো নানা পদক্ষেপ করে এসেছে চিন। অন্তিম লগ্নে এসে দৈনিক সংক্রমণ রেকর্ড ভাঙল। অশনি সঙ্কেত দেখছে চিন।
আরও পড়ুন: Russia-Ukrain War: ইউক্রেন থেকে ভারতীয় দূতাবাস সরছে পোল্যান্ডে