অক্টোবরেই হওয়ার কথা ২০তম চিনা কমিউনিস্ট কংগ্রেস। তার আগেই কি চিনে (China) সেনা অভ্যুত্থান হয়েছে? গৃহবন্দি হয়েছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)? এমনই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ায় সৃষ্টি হল চাঞ্চল্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা হয়েছে, জিনপিং-কে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি বা পিএলএ-র সর্বাধিনায়কের পদ থেকে সরানো হয়েছে। এর পরই তাঁকে গৃহবন্দি করা হয় বলে খবর। তবে এই নিয়ে বেজিংয়ের তরফে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি।
সূত্রের খবর, বেজিংয়ের তরফে ৬০ শতাংশের বেশি বিমান বাতিল করা হয়েছে। বাতিল হওয়া বিমানের সংখ্যা প্রায় ৯ হাজার ৫৮৩। এর মধ্যে শুধু বেজিং থেকেই বাতিল করা হয়েছে ৬২২। সাংহাই থেকে বাতিল হওয়া বিমানের সংখ্যা ৬৫২। সোশ্যাল মিডিয়া সূত্রে খবর, চিনের অধিকাংশ বিমানবন্দরের দখল নিয়ে নিয়েছে PLA। যদিও সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে সরকারিভাবে কিছু জানায়নি বেজিং। অন্যদিকে এই খবরের সত্যতা যাচাই করেনি The News Nest।
কয়েকদিন আগেই ‘সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন’ বা ‘SCO’-র বৈঠকে যোগ দিতে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে গিয়েছিলেন শি জিনপিং। সোশ্যাল মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, সেখান থেকে দেশে ফেরার পরই তাঁকে গৃহবন্দি করা হয়। বিশেষজ্ঞদের দাবি, সোশ্যাল মিডিয়ার এই খবর সত্যি হলে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার রাজনীতিতে বড় চমক এখনও অপেক্ষা করে রয়েছে। সূত্রের খবর, জিনপিংকে দেশের বাইরে যেতে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির তরফে বারণ করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও উজবেকিস্তানে গিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ৭৩ বছর বয়সে ব্রিটেনের রাজা হলেন চার্লস, রাজা হিসাবে তাঁর প্রথম ভাষণ আজ
সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টগুলিতে দাবি করা হয়েছে, চিনের ক্ষমতা দখল করছেন জেনারেল লি কোয়াওমিং। বর্তমানে তিনিই চিনের প্রেসিডেন্ট বলে খবর ছড়িয়েছে। চিনের নর্দান থিয়েটার কমান্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত এই সেনা অফিসারের কেরিয়ার গ্রাফ কিন্তু চমকপ্রদ। ১৯৭৬-র সেনায় কর্মজীবন শুরু করা বছর ৬০-র কোয়াওমিং-র একাধিক ফ্রন্টে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, চিনে এই সেনা অভ্যুত্থানের পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে। হংকং সমস্যা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছেন জিনপিং। এছাড়া তাইওয়ানকে ঘিরে রেখেও তা কব্জা করতে পারেনি বেজিং। উলটে SCO-র থেকে ফিরে তাইওয়ান নিয়ে নরম মনোভাব দেখান জিনপিং। এছাড়াও দু’বছর ধরে লাদাখে আগ্রাসী মনোভাব দেখানোর পর সেখানকার অধিকাংশ সংঘর্ষবিন্দু থেকে সরে আসতে হয়েছে পিএলএ-কে। সেই কারণেই জিনপিং-কে সরিয়ে ক্ষমতা দখলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিনের সেনাবাহিনী। বিশেষজ্ঞদের দাবি, সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর সত্যি হলে, নতুন করে লাদাখ এবং অরুণাচলে আগ্রাসী মনোভাব দেখাতে পারে বেজিং। পাশাপাশি, দক্ষিণ চিন সাগরে ফের উত্তেজনা বাড়বে বলেই মনে করছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: ইরানে হিজাব প্রতিবাদে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০, সাজায় ‘ফেসিয়াল রেকগনিশন’ প্রযুক্তি