ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও মঙ্গলবার সকালে অর্থনৈতিক সংকটে ভুগতে থাকা শ্রীলঙ্কার হাম্বানতোতা বন্দরে এসে পৌঁছল চিনা গুপ্তচর জাহাজ। এই বিশেষ জাহাজ ক্ষেপনাস্ত্র ও স্যাটেলাইটের ওপর নজরদারি চালাতে সক্ষম। দ্বীপরাষ্ট্রের বন্দরমন্ত্রী ক্যাপ্টেন নির্মল ডি সিলভা এনডিটিভিকে জানিয়েছে, সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ এই জাহাজ বন্দরে পৌঁছেছে। দ্বীপরাষ্টে এই জাহাজের প্রবেশ নিয়ে প্রথম থেকে আপত্তি জানিয়ে এসেছিল ভারত। এমনকী আমেরিকা জাহাজ প্রবেশের বিরুদ্ধে ছিল। দুই দেশের চাপের মুখে প্রাথমিকভাবে শ্রীলঙ্কার তরফে হাম্বানতোতা বন্দরে এই জাহাজ প্রবেশের অনুমতি না দেওয়া হলেও শনিবার শেষমেশ অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
দ্বীপরাষ্টে এই জাহাজের প্রবেশ নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি জানিয়ে এসেছে ভারত। এমনকি আমেরিকাও এই জাহাজ প্রবেশের বিরুদ্ধেই ছিল। দু’দেশের চাপের মুখে প্রাথমিকভাবে শ্রীলঙ্কার তরফে হাম্বানতোতা বন্দরে এই জাহাজটির প্রবেশানুমতি দেওয়া হয়নি। কিন্তু বোঝাই যাচ্ছে, সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে তারা।
আরও পড়ুন: Padma bridge: পদ্মা সেতু দেখতে যাওয়ার জন্য ‘ছোট বোন’ মমতাকে চিঠি হাসিনার
জানা গিয়েছে, এই জাহাজ ক্ষেপণাস্ত্র ও স্যাটেলাইটের উপর বিশেষ নজরদারি চালাতে সক্ষম। দ্বীপরাষ্ট্রের তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেদেশের জলসীমার মধ্যে থাকাকালীন ইয়ুয়ান ওয়াং-৫ নামের এই বিশেষ প্রযুক্তিতে নির্মিত জাহাজ কোনও ধরনের গবেষণা চালাতে পারবে না। তবে জানা গিয়েছে, শ্রীলঙ্কার বন্দরে এই জাহাজের আগমনে উদ্বিগ্ন নয়া দিল্লি। কারণ, তারা মনে করছে এই জাহাজের মাধ্যমে ভারতের গোপন তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হতেই পারে। এই আবহে ভারত মহাসাগর অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি বদল হচ্ছে ধীরে ধীরে।
এই নিয়ে আলোচনা ও উদ্বেগের পরিবেশ তৈরি হলেও চিন এখনও এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেনি। চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন জানিয়েছেন, ইয়ুয়ান ওয়াং-৫ নামের জাহাজকে চিনা বন্দরে নোঙর করার অনুমতি দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। জানা গিয়েছে ১৬ থেকে ২২ অগস্ট অবধি হাম্বানতোতা বন্দরেই থাকবে এই জাহাজ। ভারতের পক্ষ থেকে গত সপ্তাহে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানিয়েছিলেন, পরিস্থিতির ওপর বিশেষ নজর রাখা হবে এবং দেশ জানে কীভাবে নিরাপত্তা অটুট রাখতে হয়। আগামী দিনে পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, সেটাই এখন দেখার।
আরও পড়ুন: Hadi Matar: সলমন রুশদির উপর হামলাকারী সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এখন তদন্তকারীদের হাতে