মোস্ট ওয়ান্টেড আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমকে নিয়ে আলোচনা চলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পাকিস্তানের করাচিতে দাউদকে বিষ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, ১৯৯৩ সালের মুম্বই ধারাবাহিক বিস্ফোরণের মূল চক্রীকে রবিবার রাতে করাচির এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
যদিও এই খবর আনুষ্ঠানিক নিশ্চিত করা হয়নি। পাশাপাশি বিষ প্রয়গের অভিযোগের পিছনে উৎস এবং উদ্দেশ্য এখনও অস্পষ্ট রয়ে গিয়েছে। পাকিস্তানের কিছু মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, দাউদকে তার ঘনিষ্ঠ কেউ বিষ প্রয়গ করেন এবং এরপরেই তিনি অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন।
একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানের যে হাসপাতালে দাউদকে রাখা হয়েছে, সেখানে একেবারে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সেখানে শুধুমাত্র চিকিৎসক এবং পরিবারের সদস্যদের যাওয়ার অনুমতি আছে। হাসপাতালের যে অংশে তিনি আছেন, সেখানে আর কোনও রোগীকে রাখা হয়নি। কাউকে ধারেকাছে যেতেও দেওয়া হচ্ছে না। সূত্রের খবর, গত দু’দিন ধরে হাসপাতালে রয়েছেন দাউদ।
যদিও সেই বিষয়টি নিয়ে সরকারিভাবে পাকিস্তানের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। আপাতত দাউদ সংক্রান্ত কোনও তথ্য জানায়নি ইসলামাবাদ। ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দাউদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করছে মুম্বই পুলিশও। তাঁরা দাউদের আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলেও জানা গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ভারত সরকারও। তাতে অবশ্য জল্পনা থামছে না।
অন্য দিকে, দাউদের অসুস্থতার খবরের মাঝেই পাকিস্তানের একাধিক এলাকায় ইন্টারনেট সার্ভার ডাউন হয়ে পড়ার খবর মিলেছে। এক্স, ফেসবুক কিংবা ইনস্টাগ্রামের মতো সমাজমাধ্যম কাজ করছে না। অতিরিক্ত গোপনীয়তার জন্যই সার্ভারের এই দশা করে রাখা হয়েছে কি না, তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে।
মুম্বইয়ের পুলিশ কনস্টেবলের পুত্র দাউদ আশির দশকে ভারত থেকে পালিয়ে দুবাই যান। সেখান থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়। শোনা যায়, ১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ মুম্বইয়ে যে ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল, তার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন দাউদই। পাকিস্তান থেকে এই হামলা পরিচালনা করেছিলেন তিনি।
আমেরিকা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপুঞ্জ, সবার খাতাতেই ঘোষিত বিশ্বমানের জঙ্গি দাউদ। আল কায়েদা, তালিবানের সঙ্গেও তাঁর যোগ ছিল বলে অভিযোগ। কাজ করেছেন ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে। বিশ্ব জুড়ে নিষিদ্ধ মাদক পাচার চক্র চালান দাউদ। জঙ্গি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে রমরমিয়ে চলে সেই কারবার। সেই দাউদই এ বার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জল্পনা।