চলে গেলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসসিরে কুরআন ও সাবেক এমপি আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী(৮৩) । ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। সোমবার রাতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন তিনি ইন্তেকাল করেন।মাসুদ সাঈদী তার সংক্ষিপ্ত পোস্টে বলেন, ‘ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন। কোরআনের পাখি ৮:৪০-এ দুনিয়ার সফর শেষ করেছেন।’
বিশ্ব ইসলামী আন্দোলনের অন্যতম নেতা, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসসিরে কুরআন প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নায়েবে আমীর ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামী স্কলার এবং বহু গ্রন্থ প্রণেতা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী রাহিমাহুল্লাহ মহান রাব্বি কারিমের ডাকে সাড়া দিয়ে দুনিয়ার সফর শেষ করে সোমবার রাত ৮.৪০ নাগাদ
ঢাকার পিজি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন।
রবিবার বিকালে তিনি কারাগারের ভেতরে বুকের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেখান থেকে রাতেই তাকে জরুরী অবস্থায় ঢাকায় হস্তান্তর করা হয়।
কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতের নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ বন্দি আছেন। সেখানে থাকা অবস্থায় রোববার বিকাল ৫টার দিকে তিনি বুকের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন।
পরে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে কারাগারের অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ২০১০ সালের ২৯ জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন সাঈদী।পরে ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।সাঈদীর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা তাঁর অগণিত অনুরাগী। তাদের অনেকের অভিযোগ, কেবল রাজনৈতিক কারণে তার ওপর এমন জলুম হল।
সাঈদীর মৃত্যুর খবরে খুলনার বসুপাড়ায় দারুল কোরআন সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটি বৈঠকে বসেছে। সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে বৈঠকে বসে মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটি। বৈঠকে তার মরদেহ মাদ্রাসায় আনা এবং অসিয়ত অনুযায়ী নির্ধারিত স্থানে দাফনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জীবদ্দশায় সাঈদীর করে যাওয়া অসিয়ত অনুযায়ী মরদেহ দাফনের জন্য এই মাদ্রাসায় নির্ধারিত স্থান রয়েছে। জীবদ্দশায় সাঈদী ও তার স্ত্রীর করে যাওয়া অসিয়ত অনুযায়ী মরদেহ দাফনের জন্য এখানে নির্ধারিত স্থান আছে। তাই মৃত্যুর খবর পেয়ে মাদ্রাসা কমিটির সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে মাদ্রাসায় জরুরি বৈঠকে বসেছি আমরা।’