ঘুষ মামলায় আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টে((Supreme Court) ধাক্কা খেলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প(Donald Trump)। শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে মুখ না খুলতে পর্নতারকা (Pornstar case) স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে (Stormy Daniels)ঘুষ দেওয়ার অভিযোগের মামলায় সাজা ঘোষণা স্থগিত রাখার আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শুক্রবার তা খারিজ করে দিয়েছে আমেরিকার শীর্ষ আদালত।
আগামী ২০ জানুয়ারি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন ট্রাম্প। তার আগে সুপ্রিম কোর্টের এই রায় তাঁকে বিপাকে ফেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই মামলায় ম্যানহাটনের আদালত আগেই তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য সাজা ঘোষণা স্থগিত রেখেছিলেন বিচারক জুয়ান মার্চেন।
যৌন সম্পর্কের বিষয় ধামাচাপা দিতে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়া–সংক্রান্ত ফৌজদারি মামলাটিতে ম্যানহাটান আদালতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার চলছে। এরই মধ্যে গত বছরের মে মাসে তঁকে মামলায় দোষীসাব্যস্ত করেন আদালত।মামলায় স্টর্মি ড্যানিয়েলস অভিযোগ করেন, ২০০৬ সালে নেভাডা অঙ্গরাজ্যে একটি হোটেলে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর যৌন সম্পর্ক হয়। সে ঘটনা যাতে তিনি কাউকে না বলেন, সে জন্য ব্যক্তিগত আইনজীবীর মাধ্যমে এর ১০ বছর পর ২০১৬ সালে তাঁকে ১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার দেন ট্রাম্প। সেই সময় ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। ঘুষ দেওয়ার তথ্য তিনি তাঁর ব্যবসায়িক নথিতেও গোপন করেন।
অবশ্য ট্রাম্প স্টর্মির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ও ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ বরাবর অস্বীকার করেছেন। ট্রাম্পের দাবি, এ সবকিছু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাঁর হোয়াইট হাউসে প্রবেশ ঠেকাতে বাইডেন প্রশাসন এসব করেছে।
ট্রাম্পই হলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কোনো প্রেসিডেন্ট, যাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার বিচার শুরু হয়(First-ever sentencing)। মামলায় গত বছরের মে মাসে ম্যানহাটানের ডিস্ট্রিক্ট আদালতের বিচারকেরা তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর প্রাথমিকভাবে তাঁর বিরুদ্ধে দণ্ডাদেশ ঘোষণার কথা ছিল গত ১১ জুলাই। কিন্তু কয়েক দফায় তা পেছানো হয়।
সুপ্রিম কোর্টের ওই নির্দেশ অনুসারে, আমেরিকার প্রেসিডেন্টদের ‘অফিশিয়াল’ কাজকর্মের আইনি রক্ষাকবচের কথা বলা হয়েছে। তবে সেটি এই মামলায় ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছিলেন ম্যানহাটন আদালতের বিচারক মার্চেন। সুপ্রিম কোর্টও শুক্রবার একই কথা জানিয়েছে। ট্রাম্পের আইনজীবীরা ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত সাজা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানালেও তা খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। আমেরিকার আইন অনুযায়ী এ ক্ষেত্রে ট্রাম্পের জেলের সাজা হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই)(No prison time। আর্থিক জরিমানা হতে পারে। বিচারক মার্চেন জানিয়েছেন তিনি ট্রাম্পের জেল-জরিমানা করবেন না।