Earthquake: 6.8-magnitude earthquake in Tibet kills at least 95, injures 130, with tremors felt in Nepal

Earthquake: পরপর ৬ বার আফটারশক! ধূলিসাৎ নেপাল-তিব্বতের বিস্তীর্ণ এলাকা, মৃত বেড়ে প্রায় ১০০

নতুন বছরের শুরুতে পরপর ভূমিকম্পে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হল তিব্বত। প্রত্যেক প্রহরে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। কনকনে ঠান্ডার মাঝে গৃহহীন হাজার হাজার মানুষ।

ন্যাশনাল সেন্টার ফর সেসমিলজি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে প্রথম ভূমিকম্পটি অনূভূত হয়। কম্পনের উৎসস্থল নেপাল-তিব্বত সীমান্তের কাছে শিজ্যাং। মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে কম্পন হয় রিখটার স্কেলে ৭.১ মাত্রায়। এই কম্পনের প্রভাব পড়ে দিল্লি, বিহার-সহ উত্তর ভারতের বিরাট অংশে। আতঙ্কিত হয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন আমজনতা।

প্রথম কম্পনের প্রায় আধঘণ্টার মধ্যেই আরও দুবার আফটার শক হয় ওই এলাকায়।সকাল ৭টা ২ মিনিটে ৪.৭ মাত্রায় আফটার শক হয়। পাঁচ মিনিটের মাথায় ফের ৪.৯ মাত্রায় কেঁপে ওঠে শিজ্যাং। এখানেই শেষ নয়। আরও তিনবার লাগাতার আফটারশক হয় ওই এলাকায়। সবমিলিয়ে মঙ্গলবার সকালে মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে ৬ বার কম্পন অনূভূত হয় নেপাল-তিব্বত সীমান্তে। আর তাতেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দুই দেশের বিশাল এলাকা। ভেঙে গুঁড়িয়ে গিয়েছে বাড়ি। ভাইরাল হয়েছে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া শিগতাসে শহরের ভিডিও।

ভূমিকম্পের উৎসস্থল লেবুচে থেকে ৯৩ কিলোমিটার উত্তরপূর্বে নেপাল-তিব্বত সীমান্তে। এমনিতেই এই অঞ্চলটি ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা বলে চিহ্নিত। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় আট লক্ষ মানুষ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন উদ্ধারকারীরা। ভয়াবহ ভূমিকম্পের জেরে মুহূর্তের মধ্যে মাটিতে মিশে যায় বহু বাড়ি, স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, অফিস। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু হয় কিছুক্ষণের মধ্যেই। এখনও জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা। পুরোদমে উদ্ধারকাজ চালাতে নির্দেশ দিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।