Ecuador: TV Studio Taken Over Live On Air By Masked Gunman, President Orders Military Action

Ecuador: লাইভ শো-তে বন্দুক নিয়ে হামলা, কাঁদতে কাঁদতে অ্যাঙ্কর বললেন, ‘প্লিজ মারবেন না’

লাইভ টিভি শো চলছে। সঞ্চালক কথা বলছেন। হঠাৎই চিৎকার, চেঁচামেচি। হুড়োহুড়ি করে স্টুডিওতে ঢুকে পড়লেন কয়েকজন। তাদের মুখে মাস্ক, হাতে আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। সঞ্চালকের মাথায় বন্দুক ঠেকালেন একজন। বাড়ি বসে দর্শকরা দেখলেন, টিভি শো-তে কী সাঙ্ঘাতিক কাণ্ড ঘটছে।

তারপরের কয়েক ঘণ্টা রীতিমতো বিভীষিকায় কাটল। শোয়ে সকলকে বন্দি বানিয়ে হাত পিছমোড়া করে বেঁধে মাটিতে বসাল বন্দুকবাজেরা। সঞ্চালককে মাথা নিচু করে নীচে বসতে হল। চারদিকে ঘিরে দাঁড়াল আততায়ীরা। তাদের ভয়ঙ্কর চেহারা। চোখে ক্রূরতা। শোনা গেল গুলির আওয়াজও। সঞ্চালক তখন হাউহাউ করে কাঁদছেন। হাতজোড় করে তিনি বললেন, “প্লিজ গুলি চালাবেন না। আমাকে মারবেন না।” লাইভ শো চলাকালীনই একের পর এক ঘটতে থাকল এইসব ঘটনা।

এই ঘটনা ইকুয়েডরের। টিভি শো-র সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর হতবাক বিশ্ব।এর পরেই মিলিটারি অভিযানের ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া। জানা গিয়েছে, দেশের অন্যতম শক্তিশালী অপরাধী গোষ্ঠীর সদস্যরাই টেলিভিশন চ্যানেলে হামলা চালিয়েছিল। সাধারণ মানুষ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছে ওই গোষ্ঠীর তরফে।

প্রসঙ্গত, কলোম্বিয়া ও পেরুর মাদক পাচারকারীদের সংঘাতের মাঝেই চিড়ে-চ্যাপ্টা হচ্ছে শান্ত ইকুয়েডর। ড্রাগ কার্টেলের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে মেক্সিকো ও কলম্বিয়ার গ্যাংস্টারদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। সম্প্রতিই ইকুয়েডরের কুখ্যাত গ্যাংস্টার জেল থেকে পালিয়ে যায়। তারপরই সংঘর্ষ আরও বেড়েছে। মঙ্গলবার টেলিভিশন চ্যানেলে হামলার পরই প্রেসিডেন্ট নোবোয়া সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানান, এই সমস্ত দুষ্কৃতীদের নিকেশ করার জন্য সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।