মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি গাজায় ত্রাণ সহায়তা পৌঁছাতে রাফাহ সীমান্ত খুলে দিতে রাজি হয়েছেন। এই সীমান্ত দিয়ে ত্রাণবাহী সর্বোচ্চ ২০টি ট্রাক ঢুকতে পারবে।
মানবিক সাহায্য বহনকারী ট্রাকগুলো সারিবদ্ধভাবে রাফাহ সীমান্তের মিশর অংশে প্রস্তুত রয়েছে। এই সিদ্ধান্ত এমন সময় এলো যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েল সফর শেষে দেশে ফিরলেন। তিনি গাজার একটি হাসপাতালে বিস্ফোরণে জড়িত থাকার বিষয়ে ইসরায়েলের জোরালো অস্বীকারকে সমর্থন করেছিলেন।
মিশর ও যুক্তরাষ্ট্র গাজায় সাহায্যের অনুমতি দিতে সম্মত হওয়ার পর এই সীমান্ত এখন খোলার অপেক্ষায় রয়েছে। রাস্তা মেরামতের কথা জানিয়ে বাইডেন বলেন, শুক্রবারের আগে এসব ত্রাণবাহী ট্রাক সম্ভবত রওনা হবে না।
ইসরায়েলের সম্ভাব্য স্থল হামলার আশঙ্কায় বাস্তুহারাদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য সতর্কতার পর গাজা থেকে বহু মানুষ দক্ষিণ অংশে মিশরের সীমান্তের রাফাহ ক্রসিংয়ের দিকে চলে গেছেন। সীমান্তটি খুলে দেওয়ার ব্যাপারে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালুর আলোচনা চলছিল কয়েকদিন ধরে।
আরব বিশ্বের অনেক দেশই হামাসের মতো ইসরায়েলকেই ওই হামলার জন্য দোষারোপ করেছে এবং আরব নেতারা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে তাদের বৈঠকও বাতিল করেছেন।
মিশর গাজায় ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর জন্য রাফাহ ক্রসিং খুলে দিতে সম্মত হয়েছে। এই ক্রসিং দিয়ে ২০টি পর্যন্ত ত্রাণবাহী ট্রাক পাঠানো যাবে।রাফাহ- মিশরের সিনাই মরুভূমি সংলগ্ন একটি সীমান্ত পথ যেটি গাজার সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত। গাজা থেকে বের হবার আরও দুটি সীমান্তপথ রয়েছে, যেগুলো পুরোপুরি ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে এবং দুটোই এখন বন্ধ।মিশরের এই সীমান্ত পথটিই এখন গাজার উদ্বাস্তুদের একমাত্র ভরসা। তবে ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ শুরু হবার পর সীমান্তটি মিশর বন্ধ করে দেয়ায় সেটি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে আলোচনা চলছিল।
গত সাতই অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলের ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলে আক্রমণ করে হামাস। এ ঘটনার পর পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সীমান্তটি বন্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল।
ফলে রাফাহ সীমান্তটিই এখন বেসামরিক নাগরিকদের জন্য গাজা ত্যাগ করার একমাত্র স্থলপথ। গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানোর ক্ষেত্রেও রাফাহ এখন গুরুত্বপূর্ণ।মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, গাজার জন্য মানবিক সহায়তা সামগ্রীপূর্ণ একটি উড়োজাহাজ উত্তর সিনাইয়ের আল-আরিশ বিমানবন্দরে ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছেছে।