প্রধানমন্ত্রী পদ খোয়াতেই ইমরান খানের (Imran Khan) বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলায় শুরু হয়েছে তদন্ত। ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন উপহার হিসেবে পাওয়া একটি দামি হার সরকারি তোষাখানায় জমা না করে বিক্রি করে দেন তিনি।
অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন উপহার পাওয়া একটি নেকলেস ১৮ কোটি টাকায় বিক্রি করে দিয়েছিলেন তিনি। পাক গোয়েন্দা সংস্থা ‘ফেডেরাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি’-কে এ বিষয়ে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে সরকারি সূত্রের খবর।
পাকিস্তানের আইন বলছে, সরকারি পদে থাকাকালীন উপহার পাওয়া সমস্ত জিনিস সরকারি কোষাগারে জমা করতে হয়। কিন্তু ইমরান সে নিয়ম মানেননি বলে অভিযোগ। ইমরান ওই নেকলেসটি তাঁর বিশেষ সহায়ক জুলফিকার বুখারির মাধ্যমে লাহৌরের এক গয়না বিক্রেতার কাছে বিক্রি করে দেন বলে প্রকাশিত খবরে দাবি।
আরও পড়ুন: ভারতীয় ছাত্রকে গুলি করে খুন কানাডার টরন্টোর পাতাল স্টেশনে, শোকপ্রকাশ বিদেশমন্ত্রী জয়শংকরের
বহুমূল্য নেকলেসটি আত্মসাৎ করার জন্য ইমরান পাক আইনের একটি ধারাকে হাতিয়ার করেন বলে প্রকাশিত খবরে দাবি। ওই ধারা অনুযায়ী, কোনও সরকারি বা সাংবিধানিক পদাধিকারী উপহার নিজের কাছে রাখতে চাইলে সেটির বাজারমূল্যের অর্ধেক সরকারি কোষাগারে জমা করতে হয়। এ ক্ষেত্রে ইমরান নেকলেসের মূল্য অনেক কম দেখিয়ে মাত্র কয়েক হাজার টাকা সরকারি ভাঁড়ারে জমা দিয়ে সেটি হাতিয়ে নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
পাক রাজনীতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, পাকিস্তানের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতির প্রবেশ ঘটেছে। দেশটির বর্তমান শাসকদল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের নেতা নওয়াজ শরিফ ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও এর ব্যতিক্রম নয়। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ইমরানের খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের একাধিক নেতা এবং খোদ ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। পাকিস্তানের রাজনীতিতে কেউই ধোয়া তুলসীপাতা নয়। যার হাতে ক্ষমতা থাকে সেই প্রতিপক্ষকে দুর্নীতি মামলার জালে ফেলে নাজেহাল করে।
আরও পড়ুন: Pakistan: নওয়াজের পাসপোর্ট ফিরিয়ে দিচ্ছেন শাহবাজ, দেশে ফেরাতে কূটনৈতিক ভিসা দেওয়ার নির্দেশ