মঙ্গলবার প্যারিসে ট্র্যাফিক আইন অমান্য করার অভিযোগে এক ১৭ বছর বয়সি তরুণকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় পুলিশ। তার পর থেকেই ফ্রান্সের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে সরকারের বিরুদ্ধে বর্ণবৈষম্য-সহ একাধিক অভিযোগে রাস্তায় নেমেছেন তরুণ প্রজন্ম। শনিবার রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় ১৩০০ জনের বেশি বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তবে তাতে কমছে না বিক্ষোভের আগুন। এ বার প্যারিসের দক্ষিণে এক শহরের মেয়রের বাড়িতে গাড়ি নিয়ে সজোরে ধাক্কা দিলেন বিক্ষোভকারীরা। লে-লে-রোসে শহরের মেয়র ভ্যাঁসঁ জঁব্রু জানিয়েছেন, এই ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁর স্ত্রী এবং এক সন্তান। তিনি সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, শনিবার রাতে বাড়ির ভিতর ঘুমিয়ে ছিল তাঁর পরিবার। তখন গাড়ি চালিয়ে বাড়িতে সজোরে ধাক্কা দেন বিক্ষোভকারীরা। তার পর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: Silvio Berlusconi: প্রয়াত যৌন কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ইতালির প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বারলুসকোনি
ফ্রান্সের এই পরিস্থিতি এমানুয়েল মাকরঁ সরকারের সামনে বড়সড় চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেছে। তুলনামূলক কম রোজগেরে মানুষদের ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে। প্যারিসের পরিস্থিতি লক্ষ করে জার্মান সফরে যাওয়ার দিন পিছিয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাকরঁ। জার্মান সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে যে মাকরঁ তাদের প্যারিসের পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন। সফরের দিন পিছিয়ে যাওয়ায় দুঃখপ্রকাশও করেছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফ্রান্সের রাস্তায় মাকরঁ সরকারের তরফে নতুন করে ৪৫ হাজার পুলিশ এবং আধাসেনা মোতায়েন করা হয়েছে। তার মধ্যে শুধুমাত্র প্যারিসেই পাঁচ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। রাস্তায় সাঁজোয়া গাড়িও নামানো হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: Road Accident: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসে ধাক্কা দ্রুতগতির ট্রাকের, পিষে মৃত্যু ৪৯ জনের