গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল ক’দিন ধরেই অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। আশপাশে গুলি চালাচ্ছে সাধারণ মানুষের ওপর। এরই মধ্যে হাসপাতালটির কার্ডিয়াক ওয়ার্ড পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে দখলদাররা(Israel)। এবার পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেল সেই আল শিফা হাসপাতাল(al-Shifa Hospital)। সেইসঙ্গে বন্ধ হয়ে গেছে আরেকটি বৃহত্তম হাসপাতাল আল কুদস।এর আগে সোমবার আল শিফা হাসপাতালে হামলায় ৩ জন নার্স নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। অন্যদিকে জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালও বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস গাজার হাসপাতালগুলোতে ‘ভয়াবহ এবং বিপজ্জনক’ পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, হাসপাতালে হামলার ঘটনায় অপরিণত অবস্থায় জন্ম নেওয়া শিশুসহ আরও বহু রোগী ‘দুঃখজনকভাবে’ মারা যাচ্ছে।ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে অবরুদ্ধ গাজা। ইসরাইলের অব্যাহত বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১ হাজার ৭৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ৪ হাজার ৫০৬টি শিশু মারা গেছে। আর উপত্যকাটিতে হামলায় আহত হয়েছেন ২৭ হাজার ৪৯০ জন ফিলিস্তিনি। এতে প্রতিদিন গড়ে ৩২০ জন করে নিহত হচ্ছে বলে রাষ্ট্রসংঘ।
১১ নভেম্বর থেকে বিদ্যুৎ,জল ও অক্সিজেন না থাকায় এখন পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে হাসপাতালটি। সেখানে নিও-নেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে-এনআইসিইউতে মৃত্যুর প্রহর গুনছে ৩৯ থেকে ৪৫টি। এরমধ্যে দুই শিশুসহ বারোজন রোগী মারা গেছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ।
গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল ক’দিন ধরেই অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। আশপাশে গুলি চালাচ্ছে সাধারণ মানুষের ওপর। এরই মধ্যে হাসপাতালটির কার্ডিয়াক ওয়ার্ড পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে দখলদাররা। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অনিবার্য মৃত্যুর মুখোমুখি হাসপাতালের রোগী ও আহতরা। কারণ, তাদের জোর করে রাস্তায় বের করে দিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। হাসপাতালটির পরিচালক জানিয়েছেন, চরম বিপদে রয়েছেন ৩৬ শিশুসহ ৬৫০ রোগী। ইনকিউবেটরে থাকা অর্ধশত শিশুও মৃত্যুঝুঁকিতে।
Gaza: two largest hospitals shut; WHO warns of more premature babies dying
https://www.thenewsnest.com/world-gaza-two-largest-hospitals-shut-who-warns-of-more-premature-babies-dying/