Gazans struggle with dwindling water supply

Gaza: ‘স্নান করলে থাকবে না পানীয় জল , জীবন’রক্ষার লড়াই গাজার নির্দোষ বাসিন্দাদের

জল নেই।জীবন রক্ষা আরও কঠিন হচ্ছে গাজ়ার বাসিন্দাদের।শৌচাগারে যেতে হলে দাঁড়াতে হচ্ছে লম্বা লাইনে। স্নান করলে ফুরিয়ে যাচ্ছে খাওয়ার জল। হামাস-ইসরাইল চলতি সংঘাতের আবহে গাজায় জল, বিদ্যুৎ এবং টেলিসংযোগ দেওয়া পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে ইসরাইলি প্রশাসন। গাজায় খাদ্য আমদানির পথও পুরোপুরি বন্ধ। এই অবস্থায় ঘন জনবসতিপূর্ণ গাজায় জলের জন্য শুরু হয়েছে হাহাকার।

গাজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ঢোকা বন্ধ করতে ইসরাই প্রশাসনের পদক্ষেপের নিন্দা করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। তবে হামাসকে হাতে এবং ভাতে মারতে গাজ়ায় অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অবিচল ইজ়রায়েল। এই আবহেই গাজ়ায় হামলা চালানোর ইজ়রায়েলি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন স্বয়ং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

অবিরাম বোমাবর্ষণ চলছে। ধসে পড়েছে শত শত বাড়ি ও ভবন। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে আছে অনেকে। হাসপাতালে লাশের সারি। আশ্রয় নেওয়ার জায়গা নেই। চিকিৎসাসামগ্রীর তীব্র সংকট। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ, ফুরিয়ে আসছে খাবার। ২২ লাখ মানুষের নগরী ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় এখন এই পরিস্থিতি। টানা দশ দিন সেখানে অবিরাম আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরাইল।রাষ্ট্র সংঘ সতর্ক করে বলেছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজা উপত্যকার হাসপাতালের জ্বালানি শেষ হয়ে যাবে। ব্যাপআপ জেনারেটর বন্ধ করার ফলে হাজার হাজার রোগীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।কিন্তু কুচ পরোয়া নেই ইসরাইলের।

গাজার ডক্টরস উইদাউট বর্ডার থেকে কর্মরত ব্রিটিশ-ফিলিস্তিনি সার্জন গাসান আবু সিত্তা সতর্ক করে বলেছিলেন, হাসপাতালে সাহায্য করার জন্য পর্যাপ্ত লোকবল এবং সরঞ্জাম নেই। গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফা হাসপাতাল। এ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ২৮ বছর বয়সী মুহাম্মদ গুনেইম। তিনি বলেন, হাসপাতালে ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রীর তীব্র সংকট। বিদ্যুৎও নেই। জ্বালানি না থাকায় যেকোনো সময় জেনারেটরগুলোও বন্ধ হতে পারে।

প্রাণ হাতে নিয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে গাজ়ার দক্ষিণ দিকের শহরে চলে যাচ্ছেন বছর তেতাল্লিশের আহমেদ হামিদ। সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে তিনি বলেন, “দিনের বেলা আমরা স্নান করতে পারছি না। এমনকি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে হলেও আমাদের লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।”