পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন ২২ বছরের তরুণী মাশার মৃত্যুর প্রতিবাদে গত কয়েকদিন ধরে উত্তাল ইরান। এই ঘটনার পর ইরানি মহিলারা চুল কেটে, হিজাব উড়িয়ে প্রতিবাদ দেখায়। সেই বিক্ষোভের আজ ছয় দিন। এখনও কমেনি আমজনতার ক্ষোভ। যার স্পষ্ট ছবি দেখা গেল বৃহস্পতিবার।
মাশার মৃত্যুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়ে রাজধানী তেহরান-সহ ইরানের একাধিক শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়। তেহরান-সহ ইরানের একাধিক শহরে মহিলারা হিজাব পুড়িয়ে নীতি পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ফলে বুধবার দিনভর উত্তাল হয়ে ওঠে ইরান।
তেহরান সহ ইরানের একাধিক শহরে বিক্ষোভ শুরু হলে, সে দেশের পুলিশ রাস্তায় নামে। ইরানের নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দফায় দফায় বচসা এবং সংঘর্ষ হয়। ইরানে নিরাপত্তা রক্ষীদের গুলিতে বৃহস্পতিবার সকালে ৯ জনের মৃত্যুর খবর মিললেও, দিন যত গড়ায়, মৃতের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে।সংবাদ সংস্থা এএফপির রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরানে নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে এমন দাবি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, হিজাব সঠিকভাবে না পড়ার জন্য পশ্চিম ইরানের সাকেজ শহরের বাসিন্দা ২২ বছরের মাহসা আমিনিকে আটক করে ‘নীতি পুলিশ’। হেফাজতেই মৃত্যু হয় যুবতীর। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ‘হেফাজতে নিয়ে মশার উপর অত্যাচার চালায় পুলিশ আধিকারিকরা।’ যদিও পুলিশের পাল্টা দাবি, ‘হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে মাহসার।’ এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ দেখাতে রাস্তায় নেমে পড়েন বহু মহিলা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় বিক্ষোভের ভিডিও।