বড় খবর এল পদ্মাপারের দেশ থেকে। প্রত্যেক বছর দুর্গাপুজোর আগে কলকাতায় আসে বাংলাদেশের ইলিশ। এবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়ে দিয়েছেন, এবার দুর্গাপুজোয় ভারতে ইলিশ রফতানি করা হবে না।
শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়া খুব একটা ভাল চোখে নেয়নি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে মহম্মদ ইউনুস বলেছেন, দুই দেশের বন্ধুত্বের সম্পর্কের ওপর প্রভাব পড়েছে। এবার হয়তে তা হাতে কলমে করে দেখালেন। এবার অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গে ইলিশ রফতানি করবে না বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে। যদিও সরকারি ভাবে বলা হয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী চাহিদা মেটাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের একটি সূত্রের খবর, হাসিনা পরবর্তী সময়ে ভারত-বিরোধী জনমতের বিরুদ্ধে গিয়ে ‘ইলিশ উপহার’ পাঠানোর ঝুঁকি নিতে চাইছে না ইউনূসের সরকার। তবে বাংলাদেশের ইলিশ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা এ বারই প্রথম নয়। এর আগে ২০১২ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদার মুখে একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ২০১৫ সাল থেকে আবার ইলিশ রফতানি শুরু হয়েছিল। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের তৎকালীন অস্থায়ী ভাবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেন। পাশাপাশি, দুর্গাপুজোর আগে শুভেচ্ছার ইঙ্গিত হিসাবে ভারতে ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছিলেন তিনি।
বাংলাদেশের এই সিদ্ধান্তের ফলে এ বার ইলিশের রসনা তৃপ্তির জন্য নির্ভর করতে হবে মায়ানমার এবং ওড়িশা থেকে আসা ‘রুপোলি শস্যের’ উপর। কলকাতার মাছ আমদানিকারক সমিতির সদস্য রঞ্জন সাহার কথায়, ‘‘মায়ানমার এবং ওড়িশা থেকে ইলিশ আমদানি ইতিমধ্যে ৩০ শতাংশ বেশি দামে আমদানি করা হচ্ছে।বাংলাদেশি ইলিশ না পাওয়া গেলে কলকাতা-সহ রাজ্যের বাজারে ইলিশের দাম আরও বাড়বে বলেই মনে করছি আমরা।’’