Human Trafficking: Grounded plane with hundreds of Indians allowed to fly 3 days after France detained it over suspected human trafficking

Human Trafficking: মানবপাচারের সন্দেহ! ভারতীয় তিনশো যাত্রীসহ বিমান আটক ফ্রান্সে, ‘আশ্রয়’ চাইল ছয় নাবালক-সহ ১০

মানবপাচার হচ্ছে সন্দেহে প্যারিসের কাছে আটক করা বিমানটি ছেড়ে দেওয়া হল। ওই বিমানে যাত্রীদের মধ্যে বেশির ভাগই ভারতীয়। রবিবার ফ্রান্সের আদালত বিমানটিকে ছেড়ে দেওয়ার রায় দেয়। তার পরেই সোমবার সেটিকে মুক্তি দেওয়া হয়। বিমানটি ভারতের উদ্দেশে পাড়ি দিচ্ছে কি না, জানা যায়নি।  শনিবার ওই বিমানের যাত্রী বেশ কয়েক জন নাবালক-সহ ১০ জন ভারতীয় ফ্রান্স প্রশাসনের কাছে সরকারি আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছে বলে জানা গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, ফ্রান্সে আটক হওয়া সেই বিমানটি ‘যত বেশি সম্ভব’ ভারতীয়কে নিয়ে সোমবারই মুম্বইয়ের উদ্দেশে রওনা দেবে। এই আবহে হয়ত ফ্রান্সে আটকে থাকা ৩০৩ জন ভারতীয়র সবাই সেই বিমানে উঠতে পারবেন না। উল্লেখ্য, এর আগে সেই বিমানে যাত্রীদের অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। ‘পাচার চক্রের’ শিকার হওয়া যাত্রীদের ঠিক ভাবে বসতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছিল। তবে মুম্বইয়ে ফেরার পথে সেটা হবে না। তাই হয়ত সব যাত্রীদের নিয়েও আসতে পারবে না বিমানটি।

সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে নিকারাগুয়া যাওয়ার পথে আটকানো হয়েছিল বিমানটিকে। সওয়ার ছিলেন ৩০৩ জন। যাত্রীদের মধ্যে ১১টি শিশুও ছিল, যাদের কোনও অভিভাবক ছিল না। সে কারণে ফ্রান্সের প্রশাসনের সন্দেহ হয়, বিমানে করে মানবপাচার চলছে। দুবাই থেকে বিমানটি যখন ভাত্রি বিমানবন্দরে জ্বালানি নিতে নামে, তখন সেটিকে আটক করা হয়। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, এ৩৪০ এয়ারবাসের সকল যাত্রীদের দু’দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার পরেই সেটিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার ওই বিমানটি মুক্তির সব প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে। তবে বিমানটি কোথায় যাবে, বিবৃতিতে জানানো হয়নি। স্থানীয় বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান ফ্রাঁসোয়া প্রোকিয়োরো সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, বিমানটি ভারতের উদ্দেশে রওনা হবে। যদিও ভারতের তরফে এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

যে বিমানটিকে আটকানো হয়েছে, সেটি রোমানিয়ার চার্টার কোম্পানি লেজেন্ট এয়ারলাইন্সের বিমান। প্রযুক্তিগত কারণ দেখিয়ে বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের ভাটরি বিমানবন্দরে নামে বিমানটি। জ্বালানি ভরার কথা জানায়। সন্দেহ জাগলে সেটিকে আটকানো হয়। ই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে, এক জন বিদেশি নাগরিককে চার দিন পর্যব্ত আটকে রাখতে পারে সীমান্ত পুলিশ।  তবে আদালতের অনুপতি সাপেক্ষে ফ্রান্সে আট দিন পর্যন্ত বিদেশি নাগরিকদের আটকে রাখা যায়। সর্বোচ্চ ২৬ দিন পর্যন্ত আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের বিধিও রয়েছে সেখানে।