নতুন এই ফোনালাপে শেখ হাসিনা-সদৃশ কণ্ঠকে দাবি করতে শোনা যায়, তিনি পদত্যাগ করেননি।
কথপোকথনে হাসিনা খানিক চ্যালেঞ্জের সুরে বলেছেন, ‘কেউ দেখাক আমার পদত্যাগ পত্র। আমি দেশ ছাড়ার পর একটা ছবি ছড়িয়ে দিয়ে দাবি করা হয় আমি পদত্যাগ করেছি। ওটা একটা ভিজিটিং বুকে স্বাক্ষর করার ছবি। প্রধানমন্ত্রী কখনও ওইভাবে পদত্যাগ করেন না।’
হাসিনার মার্কিন প্রবাসী দু’জন আওয়ামী লিগ নেতার সঙ্গে ফোনে কথার অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়েছে। একটিতে তাঁকে নিইইয়র্ক প্রবাসী নেতা বলেন, ‘আপা (বড়দি) বাংলাদেশে একটা অনলাইনে খবর দিসে আপনারে নাকি গাজিয়াবাদ থেকে দিল্লি ট্রান্সফার করসে?’ হাসিনা খানিক বিস্ময়ের সঙ্গে জানতে চান, কোথায় ট্রান্সফার করসে? আওয়ামী লিগ নেতা বলেন, ‘অনলাইনে লিখসে আপনারে নাকি হেলিকপ্টারে গাজিয়াবাদ থেকে দিল্লি ট্রান্সফার করসে।’ হাসিনা বলেন, ‘কোন দেশের হেলিকপ্টার!’ আওয়ামী লিগ নেত্রী এরপর দাবি করেন, ‘আমি ভাল আছি। দেশের কাছাকাছি আছি যাতে চট করে ঢুকে পড়তে পারি।’ প্রসঙ্গত, ৫ অগাস্ট বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি বিমান হাসিনাকে দিল্লির অদূরে গাজিয়াবাদে সেনা বিমানবন্দরে নামিয়ে দিয়ে যায়। তিনি ও তাঁর বোন শেখ রেহানা এখন ভারতের অতিথি।
আওয়ামী লিগের আর এক নেতা কান্না জড়ানো গলায় হাসিনার পরামর্শ চেয়ে বলেন, আমি নিউইয়র্কে বসে যা করার করছি। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিকে জানাচ্ছি দেশে কী চলছে। কিন্তু আপনি বললে দেশে গিয়ে কর্মীদের পাশে দাঁড়াব। আমি যা বলবেন, সেটাই করব।
হাসিনা তাঁকে বলেন, দেশে গিয়ে কী করবে? তোমার নামেও মিথ্যা মামলা দেবে। আমার বিরুদ্ধে একশোটার বেশি মিথ্যা মামলা দিয়েছে। সবই খুনের মামলা। এখন দেশে না গিয়ে রাষ্ট্রসংঘ, ইউরোপিও ইউনিয়নকে জানাও দেশে কী ঘটছে। যারা বলত আমার সময় মানবাধিকার বিপন্ন ছিল, তারা দেখুক এখন বাংলাদেশে কী চলছে। বিশ্ববাসীকে জানানো দরকার। হাসিনা আমেরিকার নির্বাচন নিয়ে বলেন, ওখানে তো ভোটের প্রচার চলছে। ওখানকার দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক রাখো। আমাদের (বাংলাদেশি) লোকেরা তো ওদেশে ভোট দেয়। তাদের জানাও, দেশে কী চলছেl