I will not resign, will play till last ball: Imran Khan

Imran Khan: ইস্তফা দিচ্ছি না জানিয়ে আমেরিকা ও ভারতকে একহাত নিলেন ইমরান

আগামী ৩ এপ্রিল পাকিস্তানের সংসদে ইমরান খানকে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে। কিন্তু তার আগে বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশ্যে জ্বালাময়ী ভাষণ দেন ইমরান খান। সেখানেই তিনি দেশের মানুষের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, ‘কেন তাঁদের পিঁপড়ের মত বেঁচে থাকতে হবে?’ পাশাপাশি তিনি বলেন আগামী রবিবার অর্থাৎ ৩ এপ্রিল এই দেশের সিদ্ধান্ত হবে- এই দেশ কোন দিকে থাকবে। একদিকে থাকবে পাকিস্তানের আগের সরকারের দুর্নীতি অন্যদিকে থাকবে তাঁর সুশাসন।

বিদেশি শক্তির সাহায্য নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করার জন্য বিরোধীদের নিশানা করেছেন পাক ক্রিকেটার-রাজনীতিক। অভিযোগ করেছেন, ‘‘দেশের সার্বভৌমন্তব নিয়ে কেনাবেচা চলছে।’’ সাংবাদিক বরখা দত্তের বইয়ের উদাহরণ তুলে ইমরান বলেছেন, ‘‘ওই বইয়ে সুনির্দিষ্ট ভাবে লেখা আছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আমাদের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ নেপালে গোপন বৈঠক করেছেন।’’ ঘটনাচক্রে, ইমরানের বিরুদ্ধে পাক পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে নওয়াজের পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ)। নওয়াজের ভাই শাহবাজ বিরোধী জোটের তরফে প্রধানমন্ত্রিত্বের দাবিদার।

পাশাপাশি আমেরিকাকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ”সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমেরিকার সহযোগীদের মধ্যে পাকিস্তানের মতো কেউই ভোগেনি। আমরাই সবচেয়ে বেশি বলিদান দিয়েছি। কিন্তু পাকিস্তান কি তার মূল্য পেয়েছে? বরং বলা হয়েছে, আমাদের লোকেরা নাকি যথেষ্ট করেনি! ওরা আমাকে তালিবান খান বলেছে।”

আরও পড়ুন: জি-২০ থেকে রাশিয়াকে বের করতে পারবে না কেউ , নাম না করে আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি চিনের

এদিকে আস্থা ভোটের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে ইমরানের মুখে। পাক প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ”ভোটের দিন দেখব কে কার বিবেক বিক্রি করেছে। আমরা আমাদের তরুণদের কি এটাই শেখাব? বলব আমাদের জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের টাকার বিনিময়ে বেচে দিয়েছেন? দেশের সার্বভৌমত্বকেই বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। মানুষ কিন্তু এসব ভুলবে না, ক্ষমাও করবে না।” এরপরই বিরেধীদের উদ্দেশে গর্জে উঠে তিনি বলেন, ”তারা সব সময় মনে রেখে দেবে, আপনারা আপনাদের দেশকে বেচে দিয়েছিলেন।”

ভাষণের শেষে ইমরান বলেন, ”কেউ কেউ আমাকে ইস্তফা দিতে বলেছিলেন। কিন্তু আমি কেন পদ ছাড়ব? আমি ২০ বছর ধরে ক্রিকেট খেলেছি। এবং সকলেই জানেন আমি বরাবরই শেষ বল পর্যন্ত খেলতে রাজি। আমি আমার জীবনে কখনও হার মেনে নিইনি। ভোটে যা ফল হয় হোক, আমি দৃঢ়তার সঙ্গেই সেখান থেকে বেরিয়ে আসব।”

অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী ইমরানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক ছাড়াই পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অধিবেশন মুলতুবি হয়ে গেল। সরকারের প্রস্তাব মেনে ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি আগামী রবিবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সভা মুলতুবির কথা ঘোষণা করেন। ওই দিনই পাক পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে অনাস্থা প্রস্তাব ঘিরে ভোটাভুটির মুখোমুখি হওয়ার কথা ঘোষণা করেছে ইমরান সরকার।

আরও পড়ুন: পুতিনের সঙ্গে বন্ধুত্বই কি কাল! পাকিস্তানে ইমরানের পতনের নেপথ্যে আমেরিকা?