ইনইসুইং ইয়র্কার খেলে যদিও তিন মাসের সময় বার করে নিয়েছেন ইমরান খান কিন্তু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে তাঁকে অপসারণের জন্য (Imran Khan De-notified as Pakistan PM) বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পাকিস্তানের ক্যাবিনেট ডিভিশন।
পাক সরকারের পক্ষ থেকে সার্কুলার জারি করে বলা হয়েছে, সরকারিভাবে ইমরান খান আর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নন। সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট সংসদ ভেঙে দিয়েছেন। এরপরই সংবিধানের একাধিক ধারা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এই মুহূর্ত থেকে ইমরান আহমেদ খান নিয়াজি আর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নন। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দুজনের নাম পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিভ আলভির কাছে পাঠিয়ে দিল দল। সোমবার এ কথা জানিয়েছেন পাক মন্ত্রিসভার সদস্য ফাওয়াদ চৌধুরি। তিনি বলেছেন, যদি যৌথ বিরোধী শক্তি আগামী সাত দিনের মধ্যে নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা না করে, তা হলে পাঠানো তালিকায় থাকা প্রথম ব্যক্তিকেই নতুন করে কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: Russia-UKraine War: যুদ্ধ শেষের ইঙ্গিত! সেনা কমানোর ঘোষণা করল মস্কো
অন্য দিকে পাকিস্তানের (Pakistan Crisis) সুপ্রিম কোর্টে এই গোটা প্রক্রিয়া নিয়ে শুরু হয়েছে শুনানি। পাক সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে দুটি ইস্যুতে মামলা শোনা হচ্ছে, একটি সংসদের স্পিকারের আস্থাভোট করতে না দেওয়া ও অন্যটি পাক প্রেসিডেন্টের সংসদের অধিবেশ মুলতুবি করে দেওয়ার নির্দেশ। পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর বানিদাল রবিবার জানিয়েছেন, কোনও প্রদেশ প্রশাসক বা সরকারি সংস্থাকে আলাদা করে নিজেদের রক্ষার তাগিদে কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে সাধারণ জীবনে যাতে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় থাকে, সে দিকেও নজর রাখতে বলা হয়েছে।
আস্থা ভোটে পরাজয়ের মুখে পড়া কার্যত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল ইমরানের। কিন্তু সুকৌশলে সেই ধাক্কা এড়িয়ে গিয়েছেন। যদিও তা নিয়ে মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার শুরু হয়েছে সেই মামলার শুনানি। তবে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর পিছনেও চিনের ভূমিকা থাকতে পারে। চিনের থেকে বিপুল মাত্রায় ঋণ গ্রহণ করার পর কার্যত বেজিংয়ের ঋণের জালে আটকে পড়েছে গোটা পাকিস্তানই। সেই কারণেই ইমরানের সরে যাওয়ার একটা প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: Sri Lanka: ভয়ঙ্কর হচ্ছে পরিস্থিতি, কার্ফু উপেক্ষা করে রাজপথে পড়ুয়ারা, শ্রীলঙ্কায় বন্ধ নেটমাধ্যম