হেফাজতে থাকাকালীন শারীরিক অত্যাচারের শিকার হয়েছেন— আদালতকে জানিয়েছিলেন ইমরান খান। বুধবার দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর এই অভিযোগ শুনেও তাঁকে আরও ৮ দিন হেফজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তানের আদালত।
তোষাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ইমরান খান। তাঁকে আটদিনের জন্য দুর্নীতি দমন শাখার হেফাজতে পাঠিয়েছে ইসলামাবাদের আদালত। মঙ্গলবারের গ্রেপ্তারির পরে বুধবার আদালতে পেশ করা হয় ইমরানকে। সেখানেই একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। শাহবাজ শরিফের আর্থিক তছরুপ মামলার সাক্ষী মাকসুদ চাপরাশি যেভাবে মারা গিয়েছিলেন, একই হাল তাঁরও হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন ইমরান।
আরও পড়ুন: Child Death: টিফিনের সময়ে মৃত্যু প্রথম শ্রেণির ছাত্রের, খেলা ভেবে দাঁড়িয়ে রইলেন শিক্ষকেরা
তোষাখানা দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত ইমরানকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করার পরই রাতারাতি এক অজানা জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বুধবার তাঁকে আদালতে পেশ করার নিয়ম থাকলেও প্রকাশ্যে আনা হয়নি ইমরানকে। তাঁর জন্য বিশেষ রুদ্ধদ্বার আদালত বসেছিল পাকিস্তান পুলিশের সদর দফতরেই। আদালতে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গত ২৪ ঘণ্টায় আমাকে একবারও শৌচাগারে যেতে দেওয়া হয়নি। মনে হচ্ছে আমারও মাকসুদ চাপরাশির মতোই হাল হবে। ওকে একটা বিশেষ ধরনের ইঞ্জেকশন দেওয়া হত। তার ফলে ধীরে ধীরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। শেষে হৃদরোগে মৃত্যু হয় তাঁর। আমারও মনে হয়, একই বিষাক্ত ইঞ্জেকশন দিয়ে আমাকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হবে।”