বিয়ের বছর ঘুরতেই বিচ্ছেদ ঘোষণা করলেন দুবাইয়ের রাজকুমারী। নিজের ইনস্টাগ্রামে স্বামীকে সটান তিন তালাক দিলেন তিনি। সাফ জানিয়ে দিলেন, মেয়ের জন্মের পরেও স্বামী যেহেতু অন্যদের সঙ্গে বেশি ব্যস্ত, তাই এই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার প্রয়োজন নেই।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহির শাসক, ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা দুবাইয়ের রাজা মহম্মদ বিন রশিদ আল মখতুমের মেয়ে, শাইখা মাহরা বিন্ত। তিনি এর আগেও একাধিকবার সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে এসেছেন। ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক কূটনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। কলেজের ডিগ্রিও রয়েছে তাঁর। তিনি বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত। গত বছর মে মাসে বিয়ে হয় তাঁর। মাত্র দু’মাস আগেই সন্তানের জন্ম দিয়েছেন রাজকুমারী। সদ্যোজাত কন্যাকে নিয়ে দম্পতির ছবি ভাইরাল হয় সোশাল মিডিয়ায়। কিন্তু তার পর থেকেই দুজনের সম্পর্কে ফাটল ধরে।
দিনকয়েক আগেই ইনস্টাগ্রামে একে অপরকে আনফলো করে দেন দুজনে। জীবনসঙ্গীর ছবিও ডিলিট করে দেন সোশাল মিডিয়া থেকে। এমনকি শোনা যায়, একে অপরকে নাকি ব্লকও করে দিয়েছেন তাঁরা। তার পর থেকেই জল্পনা ছড়ায়, বিবাহবিচ্ছেদ হতে চলেছে রাজকুমারীর। এবার নিজেই যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ইনস্টাগ্রামেই স্বামীকে তিন তালাক দিলেন শাইখা। শুধু তাই নয়, কেন তিনি বিচ্ছেদ করলেন, সেই কারণও জানালেন। জানালেন, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন তাঁর স্বামী।
আজ, বুধবার ইনস্টাগ্রামে ডিভোর্স ঘোষণা করেন মাহরা। তিনি লেখেন, ‘প্রিয় স্বামী, তুমি তো অন্য সঙ্গীদের সঙ্গে ব্যস্ত রয়েছো, তাই বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা করলাম আমি। তোমাকে ডিভোর্স দিলাম, তালাক তালাক তালাক। ভাল থেকো, নিজের যত্ন নিও। তোমার প্রাক্তন স্ত্রী।’
View this post on Instagram
প্রথমে অনেকেই ভেবেছিলেন, মাহরার অ্যাকাউন্ট বুঝি হ্যাক হয়েছে। তবে কিছু পরেই নিশ্চিত হওয়া যায়, যে মাহরা নিজেই পোস্ট করেছেন বিচ্ছেদের ঘোষণা। এর পরেই ওই পোস্ট ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় দেশজুড়ে। এমনিতেই ‘তিন তালাক’ নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। মৌখিকভাবে তিনবার তালাক বলে দিলেই কি বিচ্ছেদ হয়ে যেতে পারে, এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বারবারই। সেখানে ইনস্টাগ্রামে বলা তালাক আদৌ কার্যকরী কী সেই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।