দিন দুয়েকের মধ্যেই ইজরায়েলের উপর একযোগে হামলা চালাতে পারে ইরান এবং হেজবোল্লা! জি-৭ দেশগুলোকে এই কথা জানিয়েছেন মার্কিন বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এমনটাই দাবি করেছে একটি মার্কিন সংবাদপত্র। অন্যদিকে ইজরায়েলের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, হামলা চালানোর আগেই ইরানের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাবে তেল আভিভ।
এমনিতেই ইরান-ইজরায়েলের সম্পর্ক তিক্ততায় ভরা। বিগত ১০ মাস ধরে গাজায় ইজ়রায়েলি আগ্রাসন তাতে ঘৃতাহুতি দিয়েছে। প্রভাব পড়েছে প্রতিবেশী দেশ মিশর, লেবানন, সিরিয়া ও জর্ডনেও। হামাসের শীর্ষনেতার রহস্যমৃত্যু ঘিরে ইরান-ইজরায়েল সম্পর্কে নতুন করে শুরু হয়েছে টানাপড়েন। এই পরিস্থিতিতে ইজ়রায়েলের তেল আভিভ-সহ একাধিক বিমানবন্দর থেকে মুখ ফেরাচ্ছে আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলি। তার জেরে ইহুদিভূম ও পার্শ্ববর্তী দেশগুলিতে আটকে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। ঘরে ফেরার বিকল্প রাস্তার খোঁজে হন্যে তাঁরা। সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিস্থিতির জেরে ইজরায়েলের আকাশে বিমান চালাতে সাহস পাচ্ছে না অধিকাংশ বিমান সংস্থাই। ইতিমধ্যে ভারত-ইজরায়েলে এক মাত্র সরাসরি বিমান পরিষেবা বন্ধ করেছে এয়ার ইন্ডিয়া।
ইরানি সূত্রে জানা গিয়েছে, লেবানন, গাজা ও ইয়েমেনে থাকা জঙ্গিরা ইজরায়েলে ঢুকে হামলা চালাতে পারে। রবিবারেই হেজবুল্লা বাহিনী উত্তর ইজরায়েলে প্রায় ৫০টি কাটুশা রকেট ছুড়েছে। যদিও এগুলির বেশিরভাগকেই ইজরায়েলের আয়রন ডোম চিহ্নিত করে নষ্ট করে দেয়।
এদিকে, জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি একটি যৌথ বিবৃতিতে আরব দুনিয়ায় সৃষ্টি হওয়া উত্তেজনাকর পরিস্থিতি থেকে পিছু হটার আর্জি জানিয়েছে। দুতরফকেই তারা সংযম দেখানোর আর্জি জানিয়েছে। জি-৭ এর বক্তব্য, উত্তেজনা কমাতে না পারলে তা সীমান্ত সংঘর্ষকে ফের নতুন করে বাড়িয়ে দেবে। যা গোটা অঞ্চলের পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে। এই পরিস্থিতি তুরস্ক, জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের লেবানন ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে।