আগেই জানা গিয়েছিল, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইজরায়েলে বড়সড় হামলা চালাতে পারে ইরান। সেই জল্পনা সত্যি করে শনিবার গভীর রাতে আকাশপথে ইজ়রায়েলে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান। আইডিএফ (ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স) সূত্রের খবর, ২০০-এর বেশি ড্রোন দিয়ে এই হামলা চালানো হয়েছে। যদিও এই হামলার ঘটনায় প্রাণহানির খবর এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
ইরানের ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কোর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ইজরায়েলে বেশকিছু পূর্বনির্ধারিত লক্ষ্যে ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালানো হয়েছে।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসে ইজরায়েলি বোমাবর্ষণের বদলা নিতেই এই হামলা। শুধু তাই নয়, তেহরানের হুঁশিয়ারি, ইজরায়েলকে কোনও দেশ মদত করলে মাশুল গুনতে হবে। ‘জায়নবাদে’র বিরুদ্ধে এই লড়াই থেকে আমেরিকাকে দূরে থাকার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেহরান।
কেন হঠাৎ হামলা করল ইরান? আসলে গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। যেখানে অন্তত ১৩ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। মৃতদের মধ্যে ছিলেন দুজন ইরানি সেনাকর্তাও। এই হামলার পিছনে ইজরায়েলের ‘হাত’-ই দেখছে তেহরান। তার পর থেকেই ইজরায়েলকে লাগাতার হুমকি দিয়ে যাচ্ছিল ইরান। এবার আশঙ্কা সত্যি করে শুরু হয়ে গিয়েছে যুদ্ধ।
এদিকে, হামলার কথা স্বীকার করেছে ইজরায়েলি সেনা। এদিন টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন ইজরায়েলি ফৌজের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি। তিনি বলেন, “ইরান ড্রোন ও মিসাইল হামলা শুরু করেছে। আমরা সমস্ত ধরনের পরিস্থিতির জন্য তৈরি।” জানা গিয়েছে, তেল আভিভে যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।