ইরানের গণমাধ্যমে বলা হয়েছে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয়েছেন। সোমবার তবে রাইসির নিহত হওয়ার বিষয়টি ইরান সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি। হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার(Chopper Crash) ১২ ঘণ্টা পর ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসিকে মৃত বলে ঘোষণা করা হল। রবিবার হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার ১২ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। সোমবার সকালে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হেলিকপ্টারটির খোঁজ মেলে। গোড়াতেই উদ্ধারকারীরা জানান, হেলিকপ্টারের কোনও যাত্রীর জীবিত থাকার কোনও ইঙ্গিত নেই। এর পর রইসির মৃত্যুর ঘোষণা হয়। (Ebrahim Raisi Killed)
রবিবার রাতে ইরানের উত্তর-পশ্চিমে, আজেরবাইজান সীমান্তের কাছে পার্বত্য এলাকায় ভেঙে পড়ে রইসির হেলিকপ্টার। রইসি ছাড়াও কপ্টারে ছিলেন দেশের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমিরাবদোল্লাহিয়ানও। সীমান্ত এলাকায় সফর সেরে ফিরছিলেন তাঁরা। সেই সময় জোলফা পার্বত্য অঞ্চলে, একটি তামার খনির কাছে হেলিকপ্টারটি ভেঙে পড়ে বলে জানা গিয়েছে।উড়ানের আধ ঘণ্টা পর থেকেই হেলিকপ্টারটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তার পরই আশঙ্কা মাথাচাড়া দেয়। ঘন কুয়াশার জন্যই আমেরিকার তৈরি Bell 212 কপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে।
রাইসি মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই একটি শোকবার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, ‘এই দুঃখের সময়ে’ ভারত ইরানের পাশে রয়েছে। সোমবার সকালে নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের একটি পোস্টে মোদী লেখেন, “ইরানের ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট রইসির বেদনাদায়ক মৃত্যুতে আমি গভীর ভাবে শোকাহত। ভারত-ইরান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করতে তাঁর অবদান সর্বদা মনে থাকবে। তাঁর পরিবার এবং ইরানের মানুষকে আমি আমার অন্তরের সমবেদনা জানাই।”
ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রইসি আজারবাইজান সফরে বেরিয়েছিলেন। সঙ্গী ছিলেন বিদেশমন্ত্রী। যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটে, সেই স্থানটি আজ়ারবাইজানের সীমান্তে অবস্থিত শহর জোলফার কাছাকাছি। জায়গাটি ইরানের রাজধানী থেকে অন্তত ৬০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে।