দ্বিতীয় হিরোসিমা হতে চলেছে গাজা? প্যালেস্তানীয় যোদ্ধা হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতে পরমাণু হামলা চালাবে ইজরায়েল? ইহুদি রাষ্ট্রের এক মন্ত্রীর হুংকার ঘিরে তুঙ্গে জল্পনা।
ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে। গাজায় আক্রমণের ঝাঁঝ দিনে দিনে বাড়াচ্ছে ইজরায়েল। অন্য দিকে হামাস জানিয়ে দিয়েছে, গাজায় সিটিতে ইজরায়েলি সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে তারা প্রস্তুত। এই পরিস্থিতিতেই হামাসকে পুরোপুরি শেষ করতে গাজায় পরমাণু বোমার ফেলার কথা বলেছিলেন ইজরায়েলের হেরিটেজ মিনিস্টার অ্যামিচাই এলিয়াহু। যুদ্ধে ইতি টানতে পরমাণু বোমা হামলাকে অন্যতম বিকল্প বলে উল্লেখ করেছিলেন। রেডিয়োতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই কথা বলেছিলেন ইজরায়েলের মন্ত্রী।
গাজার বাসিন্দাদের নাৎসি বাহিনীর সঙ্গেও তুলনা করেছিলেন ওই মন্ত্রী। গাজাবাসীর কেউই নিরীহ বলে মনে করেন না তিনি। সব গাজাবাসীকে মরুভূমিতে ফেলে দিয়ে আসার প্রস্তাবও তিনি দিয়েছিলেন। এ সব মন্তব্য করে এখন সমালোচনা হজম করতে হচ্ছে তাঁকে।
এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে টুইট করে নেতানিয়াহু বলেন, বাস্তবের ভিত্তিতে এই মন্তব্য করেননি মন্ত্রী। সাধারণ নির্দোষ মানুষের যেন কোনও ক্ষতি না হয় সেজন্য ইজরায়েলের সেনা বরাবরই সচেষ্ট। এই যুদ্ধে জয় না পাওয়া পর্যন্ত এভাবেই আমরা সংগ্রাম চালিয়ে যাব।” এ কারণে এবার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে ওই মন্ত্রীকে।
তবে এই মন্তব্যের পরে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন ইজরায়েলের বিরোধী দলনেতা ইয়ায়ির লাপিদ। তাঁকে দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্ত্রী বলে ভর্ৎসনা করেছেন।