ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইনের মধ্যে বিবাদ বহুদিনের। যা ঘিরে ফের লড়াই শুরু। শনিবার ছুটির দিনে সকালে মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে প্যালেস্টাইনের সমর্থক গোষ্ঠী হামাস গাজা থেকে ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে ৫ হাজার রকেট ছুড়েছে। এরপরই দেশজুড়ে যুদ্ধ পরিস্থিতি ঘোষণা করেছে ইজরায়েল।
হামাস বাহিনীর প্রথম হামলাতেই প্রাণ হারিয়েছেন ২২ ইজরায়েলি। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫০০ জন। পরিস্থিতি আরও জটিলতর হচ্ছে। মৃত্যুমিছিল বাড়তে পারে। ইসরায়েলি হামলায় ৯ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফায় একের পর এক হতাহত ব্যক্তিকে আনা হচ্ছে। লোকজনকে রক্তদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: Cable Car: কেবল কারের তার ছিঁড়ে বিপত্তি, ১২০০ ফুট উঁচুতে ছয় শিশু-সহ আট যাত্রী আটকে
ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দপ্তরের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, শীঘ্রই উচ্চপদস্থ সেনা আধিকারিক এবং প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করবেন তিনি।
হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি আল-জাজিরাকে বলেছেন, দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। খালেদ বলেন, ‘আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গাজায়, ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এবং আমাদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধে উদ্যোগ নেবে। এগুলোই হামাসের এই অভিযানের কারণ।’
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মুসলিমদের পবিত্র স্থাপত্য আল-আকসা মসজিদ চত্বরে ইহুদিদের অনুপ্রবেশের ঘটনা বেড়েছে। ফিলিস্তিনিরা এ ধরনের অনুপ্রবেশের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। এ নিয়ে আল-আকসায় মুসল্লিদের ওপর বেশ কয়েকবার হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী। হামাসের পক্ষ থেকে আল-আকসার ‘স্থিতাবস্থায়’ কোনো ধরনের পরিবর্তন আনার প্রচেষ্টাকে ‘চূড়ান্ত সীমা’ হিসেবে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এরপরও সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর পাহারায় ইহুদিদের অনুপ্রবেশ অব্যাহত ছিল। হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, ‘আল-আকসার মর্যাদা রক্ষায় আমরা এই যুদ্ধ শুরু করেছি।’
আরও পড়ুন: Nobel Peace Prize: ইরানে নারী স্বাধীনতা আন্দোলনের মুখ, নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন জেলবন্দি নার্গিস