ভারতীয় সংস্থা মারিয়ন বায়োটেকের (Marion Bio Tech) তৈরি অন্তত দুটি কফ সিরাপ নিম্নমানের। এগুলি শিশুদের ব্যবহারের উপযোগী নয়। উজবেকিস্তানে ১৮ শিশুর মৃত্যুর পর সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। উজবেকিস্তানে ওই দুটি কফ সিরাপ ব্যাবহারে নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছে WHO।
উজবেকিস্তান সরকারের দাবি, ভারতে তৈরি কফ সিরাপ খেয়ে সে দেশে ১৮টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। যে ১৮ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তারা প্রত্যেকে ভারতে তৈরি কফ সিরাপ Doc-1 Max অত্যাধিক পরিমাণ খেয়ে ফেলেছিল। পরীক্ষা নিরিক্ষা করে নাকি ওই কফ সিরাপে ইথাইল গ্লাইকলের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। ভারতীয় ওই কফ সিরাপ কতটা নিরাপদ তা নিয়ে তদন্তের দাবি জানায় উজবেক সরকার। সেই দাবি মেনে নিয়ে মারিয়ন বায়োটেকের তৈরি সিরাপগুলি খতিয়ে দেখা শুরু করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বুধবার WHO জানিয়েছে সংস্থার তৈরি কাশির সিরাপ সঠিক গুণমান পূরণে ব্যর্থ। এই কাশির সিরাপ ব্যবহারে শিশুদের ক্ষতি হতে পারে, তাই এই সকল সিরাপ ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। যে দুটি সিরাপ ব্যবহারে সতর্ক করা হয়েছে সেগুলি হল ‘AMBRONOL Syrup এবং DOK-1 Max Syrup’।
আরও পড়ুন: Charles Sobhraj: ৬৫-র ‘বিকিনি কিলারে’র সঙ্গে বিয়ে একুশের তরুণীর, কে এই নিহিতা বিশ্বাস?
উত্তরপ্রদেশ ড্রাগ কন্ট্রোলার এবং সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও) ইতিমধ্যেই উৎপাদন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে ম্যারিয়ন বায়োটেককে। সেই সঙ্গে WHO সতর্ক করেছে, অন্যান্য দেশেও এই দুটি সিরাপ বিক্রি হয়। কোথাও কোথাও আবার নিয়ম বিরুদ্ধভাবেও এগুলি বিক্রি হচ্ছে।
এর আগে আফ্রিকার গাম্বিয়ায় (Gambia) কফ সিরাপ খেয়ে ৬৬ জন শিশুমৃত্যুর ঘটনায় একইভাবে অভিযোগের তির এসেছিল ভারতের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার দিকে। গাম্বিয়া সরকারের দাবি ছিল, মেডেন ফার্মাসিউটিক্যাল নামের সংস্থার কফ সিরাপ খেয়ে সেদেশে ৬৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। যদিও শেষমেশ ভারত সরকার জানিয়ে দেয়, গাম্বিয়া সরকার এবং WHO যা তথ্য দিচ্ছে, তা ওই সংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য যথেষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: Flight Services: আমেরিকা জুড়ে বেনজির বিভ্রাট! তড়িঘড়ি নামিয়ে ফেলা হল সব বিমান