বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে একটি কন্টেনার ডিপোতে৷ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪১ জন নিহত হয়েছে আগুনে ঝলসে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। যদিও এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। আহত হয়েছেন দেড়শোর বেশি। আহতদের মধ্যে ডিপোর কর্মী ছাড়াও রয়েছেন পুলিশ এবং দমকলের কর্মীরাও। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
ঢাকা (Dhaka)-চট্টগ্রাম (Chittagong) হাইওয়ে সংলগ্ন সীতাকুণ্ডের শীতলপুর এলাকায় একটি বড়সড় কন্টেনার ডিপো অবস্থিত। আমদানি-রপ্তানি করা বিভিন্ন পণ্য এই ডিপোতে রাখা হয়। শনিবার রাত প্রায় ১১ টা নাগাদ এই ডিপোয় আচমকাই আগুন লেগে যায়। সেসময় কাজ করছিলেন অনেকেই। ডিপোর ভিতরে মজুত থাকা দাহ্য পদার্থের জন্য দ্রুত আগুনের লেলিহান শিখা চড়িয়ে পড়তে থাকে। ঘটতে থাকে বিস্ফোরণ। চারপাশের পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে দমকল কর্মীরা ছুটে এসে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করেন। ঝলসানো দেহ উদ্ধার হয় ডিপোর ভিতর থেকে। কাজ করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এখনও পর্যন্ত তিন দমকল কর্মীও।
আরও পড়ুন: Pulitzer Prize 2022: পুলিৎজার পেলেন চার ভারতীয়, মরণোত্তর সম্মান চিত্র-সাংবাদিক দানিশ সিদ্দিকিকে
16+ dead and 200+ severely wounded by terrible explosion and fire at a large container deport, port city Chittagong.
Death tool is increasing, and fire till now not in control.
My heartfelt condolences and sympathies go to victims families. #chittagongfire pic.twitter.com/8TPCacoNhV
— Ershad Khan (@ershadkhandu) June 5, 2022
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ এবং দমকল মনে করছে, ডিপোয় একটি কন্টেনারে মজুত রাসায়নিকে বিস্ফোরণ ঘটেছে। তার পর সেখান থেকে আগুন ডিপোর অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে। পর পর বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণও হয় বলে দাবি স্থানীয়দের। বিস্ফোরণে তীব্রতা এত বেশি ছিল যে আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়ির জানলার কাচ ভেঙে গিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে তিন-চার কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে পরপর বিস্ফোরণে। অগ্নিদগ্ধদের জরুরি চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যালের সব চিকিৎসকের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আগুন নেভাতে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা থেকেও দমকলের বিভিন্ন ইউনিট যোগ দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২৪টি ইউনিট কাজ করছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা এবং উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য সেনাবাহিনীকে কাজে লাগানো হয়েছে। রবিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিন। প্রথম আলো-কে তিনি বলেন, “আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা, আগুন যাতে আরও বেশি ছড়িয়ে না পড়ে এবং দ্রুত উদ্ধারকাজের জন্য সেনার ১৫০-২০০ সদস্যকে আনা হয়েছে।” তবে কোথা থেকে আগুন লেগেছে তা এখনও জানা যায়নি বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার। এই ঘটনার তদন্তের জন্য ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: Mona Lisa: মহিলার ছদ্মবেশে ভিঞ্চির ‘মোনালিসা’র উপর হামলা, কিন্তু কেন?