দিতে তিনদিনের মার্কিন সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠকের আগেই ডেলাওয়ারে বাইডেনের বাড়িতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেই আলোচনার পরেই রবিবার প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এক বিবৃতি জারি করে বলা হয়, কলকাতায় গড়ে উঠবে সেমিকন্ডাক্টর কারখানা। দুই রাষ্ট্রনেতা এই বিষয়ে একমত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
মার্কিন সফররত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সে দেশের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের একান্তে বৈঠক হল। ডেলাওয়ার অঙ্গরাজ্যের উইলমিংটনে নিজের বাড়িতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলে বাইডেন। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে নানা বিষয়ের মধ্যে বাংলাদেশ প্রসঙ্গও ছিল।
পরে ডেলওয়ারেই বসে নিরাপত্তা বিষয়ক মঞ্চ কোয়াডের বৈঠক। সেখানে জাপান, ব্রিটেন এবং অষ্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীরাও উপস্থিত ছিলেন। ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্ত্রি জানান, দুই বৈঠকেই বাংলাদেশের বিষয়ে কথা হয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার মুখোমুখি বৈঠক চেয়েছিল ঢাকা। কিন্তু সময় এবং কর্মসুচির ফারাকের কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। তবে বাইডেনের দেওয়া নৈশ ভোজে ইউনুস থাকতে পারেন। তখন প্রথমবার তাঁদের সাক্ষাৎ হতে পারে। সেই সাক্ষাতের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইউনুসকে কী বলেন তা নিয়ে কৌতূহল আছে।
দিন কুড়ির ব্যবধানে মোদী তিনবার বাংলাদেশ নিয়ে মুখ খুললেন। গত ২৬ অগাস্ট বাইডেন মোদীকে ইউক্রেন সফরের জন্য অভিনন্দন জানাতে ফোন করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী তখন বাংলাদেশের অস্থির অবস্থা এবং সংখ্যালঘু, বিশেষ করে হিন্দুদের উপর হামলা, নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে অবহিত করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী সেই আলোচনার কথা জানিয়ে ট্যুইট করলেও মোদী-বাইডেন ফোনালাপ নিয়ে হোয়াইট হাউসের বয়ানে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ ছিল না। তা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হলেও পরে ওয়াশিংটন মেনে নেয় মোদী-বাইডেন ফোনালাপে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উঠেছিল।