স্ত্রীর মস্তিষ্কের ঘিলু দিয়ে ট্যাকোস (একধরনের মেক্সিকান খাবার) খাওয়া! এবং তাঁর মাথার খুলিকে ব্যবহার ছাইদানি হিসেবে ব্যবহার করা! এমনই হাড়হিম অভিযোগ উঠল মেক্সিকোর (Mexico) এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। নিজের অপরাধ সম্পর্কে বলতে গিয়ে তার দাবি, শয়তানের নির্দেশেই এমন কাজ করেছে সে!
দ্য মিরর-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে মেক্সিকোর পুয়েব্লোতে। গত ২ জুলাই অভিযুক্তকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিযুক্তের নাম আলভারো। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৯ জুন নেশার ঘোরে স্ত্রী মারিয়া মন্টসেরাটকে খুন করেন। পুলিশের কাছে আলভারো দাবি করেছেন, তিনি স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন। আর সেই আদেশ পালনেই স্ত্রীকে খুন করেন।
আরও পড়ুন: Narendra Modi: জিলকে ৭.৫ ক্যারেটের হিরে, জো বাইডেনকে ৮৬ বছর আগের উপনিষদ উপহার মোদীর
এক বছরও হয়নি মারিয়াকে বিয়ে করেছিলেন আলভারো। মারিয়ার আগের পক্ষের পাঁচ সন্তান রয়েছে। যাদের বয়স ১২ থেকে ২৩ বছরের মধ্যে। দ্য মিরর-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আলভারো পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন যে, তিনিই মারিয়াকে খুন করেছেন। এবং ট্যাকো (স্থানীয় এক ধরনের খাবার) দিয়ে স্ত্রীর ঘিলু খেয়েছেন। আলভারোর ঘর থেকে একটি খুলিও উদ্ধার হয়েছে। আলভারো দাবি করেছেন, ওই খুলি তাঁর স্ত্রীর। তবে স্ত্রীর দেহাংশ কোথায় রেখেছেন আলভারো, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
খুনের দিন দুয়েক পরে মহিলার এক সৎ মেয়েকে ফোন করে সে জানিয়ে দেয়, দ্রুত এসে নিজের মায়ের দেহ নিয়ে যেতে! বলে ওঠে, ”আমি ওকে খুন করে ব্যাগে ভরে রেখেছি, নিয়ে যেও।” নিহত মহিলার মায়ের দাবি, তাঁর জামাই সব ধরনের নেশা করত। কোকেনের পাশাপাশি হেন নেশা ছিল না যা সে করত না। আর সেই কারণেই মানসিক অস্থিরতায় ভুগত সে। অভিযোগ, সৎ মেয়েদের শারীরিক ও যৌন নির্যাতনও করত ওই ব্যক্তি। পাশাপাশি পুলিশের ধারণা ‘কালো জাদু’ বা অতিপ্রাকৃতের চর্চাও করত সে। স্ত্রীর দেহ নিয়ে এমন কাণ্ডের পিছনেও তেমন কিছু ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Khalistani: খলিস্তানি হুমকি ইস্যুতে মুখ খুললেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী