মার্কিন মুল্লুকে তিন দিনের সফরে বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। তাঁকে স্বাগত জানান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) এবং ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন। রাষ্ট্রনেতাদের সৌজন্যে সাক্ষাতে বাইডেন এবং ফার্স্ট লেডিকে তাক লাগানো উপহার দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তার মধ্যে ছিল সবুজ হিরে, চন্দনকাঠের বাক্স ইত্যাদি।
বিদেশ সফরে গেলে সাধারণত, রাষ্ট্রনায়কদের হাতে ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত উপহার তুলে দেন মোদী । যেমন, জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে দিয়েছিলেন গীতা। এবার আমেরিকার রাষ্ট্রপতি বাইডেনকে দিলেন উপনিষদ।এই উপনিষদকে সংস্কৃত থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেছিলেন প্রখ্যাত ইংরেজ সাহিত্যিক উইলিয়াম বাটলার ইয়েটস। তাঁর সেই অনুদিত বইটিই আমেরিকার রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
শুধু উপনিষদ নয়, ভারতীয় সংস্কৃত অনুযায়ী বাইডেনকে দশ ধরনের দান বা ‘দশ দানম মঞ্জুষা’ উপহার দিয়েছেন মোদী। দশ ধরনের দানের জন্যে বিশেষ হস্তনির্মিত কাঠের বাক্সও ছিল। এটা রাজস্থানে জয়পুরের শিল্পীরা কর্ণাটকের চন্দন কাঠ থেকে তৈরি করেছেন। এই বাক্সের ভিতর দেওয়া হয়েছে কলকাতার কারিগরদের তৈরি বিঘ্নহর্তা গণেশের রূপোর মূর্তি, রূপোর তৈরি নারকেল, তামার প্রদীপ। এছাড়াও, চন্দন কাঠের বাক্সে রয়েছে মহীশূরের সুগন্ধি চন্দন, তামিলনাড়ুর তিল, রাজস্থানের ২৪ ক্যারেট সোনার মুদ্রা, পঞ্জাবের ঘি, ঝাড়খণ্ডের সিল্ক কাপড়, উত্তরাখণ্ডের চাল, মহারাষ্ট্রের গুড়, রাজস্থান এবং গুজরাতের লবণ এবং ৯৯.৫ শতাংশ বিশুদ্ধ রৌপ্য মুদ্রা।
বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, জিলকে উপহার দেওয়া সাড়ে ৭ ক্যারাটের ওই হিরেটি খনি থেকে মেলেনি। পরীক্ষাগারে সৌরশক্তি ব্যবহার করে কৃত্রিম পদ্ধতিতে বানানো হয়েছে। প্রাকৃতিক হিরের সমস্ত বৈশিষ্ট্যযুক্ত এই কৃত্রিম হিরে পরিবেশ সংরক্ষণের বার্তাবাহী। হিরেটি রাখা ছিল কাশ্মীরের শিল্পীদের তৈরি প্রখ্যাত ‘কর-ই-কলমদানি’ বাক্সে। নকশা আঁকা বাক্সটি তৈরি দামি ‘প্যাপিয়ার ম্যাচ’ কাগজ দিয়ে।
উপহার পেয়েছে মোদীও:
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে হ্যান্ডমেড, অ্যান্টিক আমেরিকান বই তুলে দিয়েছেন বাইডেন। এছাড়াও, ভিন্টেজ আমেরিকান ক্যামেরা, আমেরিকার ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফির বই, রবার্ট ফ্রস্টের কবিতার বইও উপহার দিয়েছেন বাইডেন।