নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা দিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ মঙ্গলবার ভোররাতে এক ভিডিওতে এই রূপরেখার ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। ভিডিওটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদের ফেসবুকে প্রচার করা হয়। ভিডিওতে নাহিদের পাশে আসিফ ছাড়াও আরেক সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার ছিলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সর্বজন গ্রহণযোগ্য আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে। তিনি ছাত্র–জনতার আহ্বানে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে এই গুরুদায়িত্ব নিতে সম্মত হয়েছেন।
দেশে ফিরেছেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফ্রান্সের প্যারিসে অলিম্পিক গেমস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সোমবারই দুপুরের দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
ড. ইউনূস গত ২১ জুলাই প্যারিস অলিম্পিকে যান। যাওয়ার সময় তিনি দেশের সহিংস অবস্থা দেখে গেছেন। প্যারিসে থাকা অবস্থায় দেশের চলমান সহিংসতায় বিশ্বনেতাদের ও জাতিসংঘকে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দেন তিনি। এই বিবৃতিকে সদ্য সাবেক আওয়ামী লীগ সরকার ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’ হিসেবে আখ্যায়িত করে।
বিবৃতি প্রসঙ্গে ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ড. ইউনূস বিশ্ব অলিম্পিকের তিন বিশেষ অতিথির একজন এবং জাতিসংঘ মহাসচিবের সাত উপদেষ্টার একজন। ওনার দেশ সম্পর্কে জানতে চাওয়ায় তিনি সেখানে বিবৃতি দিতে বাধ্য হয়েছেন। দেশে যে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি হয়েছে, ৩২ জন শিশুকে হত্যা করা হয়েছে, তিনি তা তুলে ধরেছেন।’