তাঁদের গবেষণার জন্য ক্যানসারের ওষুধের মান উন্নত করার পথ প্রশস্ত হয়েছে।ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রে দেখিয়েছেন দিশা। সেজন্য চলতি বছর রসায়নে নোবেল পুরস্কার জিতলেন ক্যারোলিন আর বেরতোজ্জি, মর্টেন মেলডাল এবং কে বেরি শার্পলেস। মার্কিন বিজ্ঞানী শার্পলেস ২০০১ সালেও নোবেল জিতেছিলেন। পঞ্চম ব্যক্তি হিসেবে দ্বিতীয়বার নোবেল পেলেন তিনি।
স্টকহোমে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস জানিয়েছে, ‘অণু তৈরির জন্য একটি উদ্ভাবনী হাতিয়ার’ বিকাশের জন্য ২০২২ সালের রসায়নে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে ক্যারোলিন আর. বার্টোজি, মর্টেন মেলডাল এবং কে. ব্যারি শার্পলেসকে। নোবেল বিজয়ীদেরকে ক্লিক কেমিস্ট্রি এবং বায়োর্থোগোনাল কেমিস্ট্রিতে কাজের জন্য পুরস্কৃত করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে একাডেমির তরফে। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্যারোলিন বার্টোজি, ক্লিক রসায়নকে একটি নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছেন এবং জীবন্ত প্রাণীর উপর এর ব্যবহার শুরু করেছেন। কোষের স্বাভাবিক রসায়ন ব্যাহত না করেই তার বায়োর্থোগোনাল প্রতিক্রিয়া ঘটে।
আরও পড়ুন: Kohinoor Crown: ভারতের কোহিনূর উঠেছিল রানি এলিজাবেথের মাথায়, তাঁর অবর্তমানে এর মালিক কে?
ব্যারি শার্পলেস এবং মর্টেন মেলডাল রসায়নের একটি কার্যকরী রূপের ভিত্তি স্থাপন করেছেন যা ক্লিক কেমিস্ট্রি। যেখানে আণবিক বিল্ডিং ব্লকগুলি দ্রুত এবং দক্ষতার সঙ্গে একত্রিত হয়। আমেরিকান প্রফেসর শার্পলেস যখন স্ক্রিপস রিসার্চে কাজ করেন। মেলডাল কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।২০২২ সালের রসায়নে নোবেল পুরষ্কার আসলে কঠিন প্রক্রিয়াগুলিকে সহজ করার বিষয়ে দেওয়া হয়েছে। ক্লিক রসায়ন এবং বায়োর্থোগোনাল প্রতিক্রিয়া রসায়নকে কার্যকারিতার যুগে নিয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে একাডেমি।
ক্লিক কেমিস্ট্রি এবং বায়োঅর্থগোনাল কেমিস্ট্রি কী?
নোবেল কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, ক্লিক কেমিস্ট্রির মাধ্যমে ওষুধ তৈরি, ডিএনএ ম্যাপিং এবং সেই সংক্রান্ত কাজের সরঞ্জাম তৈরি করা হয়। অন্যদিকে, বায়োঅর্থগোনাল কেমিস্ট্রির মাধ্যমে গবেষকরা ক্যানসারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের মান উন্নত করেছেন বলে রয়্য়াল সুইডিশ অ্যাকাডেমি তরফে জানানো হয়েছে। পুরস্কার হিসেবে এই তিন বিজ্ঞানী প্রায় ১ কোটি সুইডিশ ক্রোনার পাবেন।
আরও পড়ুন: গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশুর মৃত্যু, ভারতে তৈরি কাশির সিরাপ নিয়ে সতর্কবার্তা WHO-র