পাকিস্তানের ২৪তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন শাহবাজ শরিফ। সোমবার তিনি ইসলামাবাদে শপথ নেন। উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি ড. আরিফ আলভি, সেনাপ্রধান (সিওএএস) অসীম মুনিরসহ বিশিষ্টজনেরা। ছিলেন পাকিস্তান মুসলিম লীগ–নওয়াজ এর বর্তমান প্রেসিডেন্ট নওয়াজ শরিফ। এছাড়াও হাজির ছিলেন একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন। শপথ গ্রহণের পর নতুন প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অফ অনার প্রদান করা হয়।
দ্বিতীয়বার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হলেন শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। নির্বাচন শেষ হওয়ার প্রায় একমাস পরে নতুন প্রধানমন্ত্রী পেল পাকিস্তান। পাকিস্তানের (Pakistan) নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনও দল। পিটিআই সমর্থিত নির্দলরা পেয়েছেন ১০১টি আসন, অন্যান্য সমস্ত দলের চেয়ে বেশি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান পেয়েছিল যথাক্রমে নওয়াজ শরিফের পিএমএল(এন) ও বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি। ফলপ্রকাশের পরেই জোট গঠন করতে মাঠে নেমে পড়ে দুই দল। জোট গড়া নিয়ে সমঝোতা হলেও প্রশ্ন ওঠে, কোন শিবির থেকে প্রধানমন্ত্রী হবেন?
গত ২০ ফেব্রুয়ারি জানা যায়, নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এনের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে জোট সরকার গড়তে চলেছে পিপিপি। সে দিন রাতে এক পাশে শাহবাজ এবং অন্য পাশে বাবা আসিফ জরদারিকে নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিলাওয়াল। সেখানেই তিনি পিএমএল-এনকে সমর্থনের কথা জানিয়ে দেন তিনি।
বিলাওয়ালের ঘোষণার পরই সরকার গঠনের জট কাটে। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ভাবে পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শাহবাজ়ের নাম ঘোষণা করা হয়নি। রবিবার ছিল পার্লামেন্ট অধিবেশন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিজেদের পছন্দের কথা জানান পার্লামেন্টের সদস্যেরা (সাংসদ)। রবিবার শাহবাজ়ের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন পিটিআই-এর নেতা ওমর আইয়ুব। যদিও ভোটাভুটিতে ৯২টির বেশি ভোট পাননি তিনি। ৩৩৬ সদস্যের পাক সংসদে প্রধানমন্ত্রী হতে গেলে কমপক্ষে ১৬৯টি ভোট পেতেই হয়। রবিবার শাহবাজ় ২০১টি আসন পেয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মনোনীত হন।