পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী দাবি করেছে যে একটি ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র সেই দেশের ভূখণ্ডে এসে পড়েছে। দাবি করা হচ্ছে ক্ষেপণাস্ত্রটি সুপারসনিক। তবে মিসাইলটি ‘আনআর্মড’ ছিল বলে দাবি করা হয়েছে। এদিকে পাকিস্তানের এই দাবি প্রসঙ্গে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি ভারত।
বৃহস্পতিবার সন্ধেয় একটি সাংবাদিক সম্মেলনে পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর তরফে মেজর জেনারেল বাবর ইফতিখার বলেন, ”৯ মার্চ একটি দ্রুতগতির উড়ন্ত বস্তু ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে ওড়ানো হয়েছিল। তার প্রাথমিক গতিপথ থেকে বস্তুটি হঠাৎ পাকিস্তানের দিকে ঢুকে পড়ে। অবশেষে মিয়া চান্নুর কাছে ভেঙে পড়ে ওই বস্তুটি। পাকিস্তানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে সেটি।”
এই ঘটনার জেরে হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ২০০৫-এ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ফ্লাইট পরীক্ষার প্রাক-বিজ্ঞপ্তি সংক্রান্ত চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী প্রতিটি দেশকে ফ্লাইট টেস্টের অন্তত তিন দিন আগে অন্য দেশকে জানাতে হবে। স্থল থেকে স্থলে ফ্লাইট টেস্ট করতে হলে জানাতে হবে। সমুদ্র থেকে মিসাই উৎক্ষেপণ করলেও জানাতে হবে।ওই ছুক্তি অনুযায়ী লঞ্চ সাইটগুলি আন্তর্জাতিক সীমানা বা নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে পড়া উচিত নয়।
পাকিস্তান এয়ার ফোর্সের তরফে মেজর জেনারেল ইফতিখার জানান, স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কৌশলগত পদক্ষেপ শুরু করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “এই ঘটনাটি যে কারণেই ঘটুক না কেন, ভারতীয়দেরই ব্যাখ্যা করতে হবে। পাকিস্তান এই স্পষ্ট লঙ্ঘনের তীব্র প্রতিবাদ করছে। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তির বিরুদ্ধে সতর্ক করছে।”
অন্যদিকে, পাকিস্তান এয়ার ফোর্সের মুখপাত্র তারিক জিয়া বলেন, ”বস্তুটি ৪০ হাজার ফুট উচ্চতায় তোলা হয়েছিল। পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সেটি ১২৪ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। ৬ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড ওই বস্তুটি আকাশে উড়েছিল। মাটিতে পড়ার আগে পর্যন্ত সেটি ৩ মিনিট ৪৪ সেকেন্ড পাকিস্তান ভূখণ্ডেই ছিল।”
এই বিষয়ে দিল্লির বক্তব্য জানতে চাইছে ইসলামাবাদ। যদিও ভারতের তরফে এই বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
আরও পড়ুন: Russia-Ukrain War: ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয় ছাত্রদের জন্য ‘মসিহা’ হয়ে এলেন পাকিস্তানি ড্রাইভার