সাময়িক স্বস্তি প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। ইসলামাবাদের সন্ত্রাস দমন আদালত আগামী ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেফতারি থেকে রক্ষাকবচ দিয়েছে। এর আগে ২৫ অগস্ট পর্যন্ত ইসলামাবাদ হাই কোর্ট থেকে গ্রেফতারিতে রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর চেয়ারম্যান ইমরান। সেই রক্ষাকবচের মেয়াদ শেষের আগেই ইসলামাবাদের সন্ত্রাস দমন আদালতের দ্বারস্থ হন ইমরানের আইনজীবীরা। সেখানে বিচারক রাজা জাওয়াদ আব্বাস হাসান শর্তসাপেক্ষে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্-গ্রেফতারি জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পুলিশ সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ এনেছে। সম্প্রতি ইসালামাবাদে একটি জনসভায় ইমরান পুলিশ ও বিচারবিভাগের কড়া নিন্দা করেছেন এবং হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ। তারপরই তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে মামলা দায়ের করে পুলিশ। এছাড়া ইমরানের বিরুদ্ধে বিদেশ থেকে বেআইনিভাবে দলের জন্য অর্থ নেওয়া ও অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগও আছে। অভিযোগ, ইমরান আমেরিকা, ভারত ও ইউরোপের ব্যক্তি ও সংস্থার কাছ থেকে থেকে অর্থ নিয়েছিলেন, যা তিনি আইনত পারেন না। এই অভিযোগে শাস্তি হলে তিনি আর ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না। রাজনীতিও করতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: Rishi Sunak: ঋষি সুনাক বনাম লিজ ট্রাস, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার শেষ দৌড়ে এখন দু’জন
জামিন পাওয়ার পর আদালত থেকে বেরিয়ে ইমরান বলেছেন, ‘সরকার তার জনপ্রিয়তা দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছে। তাই তারা টেকনিকাল নকআউটের নীতি নিয়েছে।’
এর আগে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ দাবি করেছিলেন, ২৫ অগস্ট রক্ষাকবচের মেয়াদ শেষ হলেই গ্রেফতার করা হবে ইমরানকে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতিও জোগাড় করা হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন তিনি। ইমরানের আর্জি খারিজ হলে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এই জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। রাজধানী ইসলামাবাদে ছিল কড়া পুলিশি নিরাপত্তা। অন্য দিকে, যদি ইমরান গ্রেফতার হন, সে ক্ষেত্রে পাল্টা চাপ তৈরি করতে পিটিআই কর্মী সমর্থকদের পথে নামারও আগাম ডাক দেওয়া হয়। তবে দুপুর নাগাদই রক্ষাকবচ পান ইমরান।