বাংলাদেশে লাগাতার সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচারের যে অভিযোগ উঠছে, তা নিয়ে ভারতের ঘরোয়া রাজনীতিও আন্দোলিত। নয়াদিল্লি যাতে এ ব্যাপারে সদর্থক পদক্ষেপ করে সে ব্যাপারে দাবি উঠেছে।বাংলাদেশে নির্যাতনের শিকার হিন্দুরা! বাণিজ্য বন্ধের ইঙ্গিত বিজেপি শাসিত ত্রিপুরার। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সঙ্গে সমস্তরকম বাণিজ্য বন্ধ করার ইঙ্গিত দিল বিজেপি শাসিত ত্রিপুরা। খোদ মুখ্যমন্ত্রী। মানিক সরকারের ইঙ্গিত, “অচিরেই বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করতে পারে ত্রিপুরা সরকার।”
শনিবার আগরতলা প্রেস ক্লাবে বাছাই করা সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সরকার ইঙ্গিত দিয়েছেন, বাণিজ্য বন্ধ নিয়ে ত্রিপুরা সরকার এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত না নিলেও বিষয়টি ভাবনাচিন্তার পর্যায়ে আছে। এ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত হতে পারে। এ বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে রাজ্য সরকার।
শুক্রবার অবশ্য নয়াদিল্লিতে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল এ ব্যাপারে সাংবাদিক বৈঠক করেছেন। তিনি পষ্টাপষ্টি বলেছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার এখনই বন্ধ হওয়া উচিত। জয়ওয়াল এও জানিয়েছেন, কূটনৈতিক স্তরে বাংলাদেশের সঙ্গে কথা হয়েছে এবং ঢাকাকে বলা হয়েছে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।তবে তাৎপর্যপূর্ণ হল, বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র এও জানিয়েছেন যে, চলতি পরিস্থিতির জন্য দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে কোনও প্রভাব পড়বে না।
কূটনীতিকদের অনেকের মতে, পড়শি দেশের সঙ্গে এমন হঠকারী ব্যবহারের খেসারত আগে দিতে হয়েছে ভারতকে। ২০১৩ সালে নেপালের সঙ্গে আর্থিক অবরোধ শুরু করেছিল ভারত। সার দিয়ে ট্রাক আটকে ছিল সীমান্তে। তার ফলে যে ব্যাকল্যাশ হয়েছিল, তার স্মৃতি এখনও টাটকা। তা ছাড়া ভারতের সেই অবস্থান নেপালকে আরও বেশি করে চিনের মুখাপেক্ষী করে তোলে।