পাক অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে)-কে ‘বিদেশি ভূখণ্ড’ বলে স্বীকার করে নিল পাকিস্তান সরকার! ইসলামাবাদ হাই কোর্টে শুক্রবার জমা দেওয়া হলফনামায় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকার নিযুক্ত অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে বলেছেন, ‘‘কাশ্মীরের যে অংশ থেকে কাশ্মীরি কবি এবং সাংবাদিক আহমেদ ফারহাদ শাহকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে, তা পাকিস্তানের অংশ নয়, বিদেশি ভূখণ্ড।’’
কাশ্মীরের জনপ্রিয় কবি ও সাংবাদিক আহমেদ ফারহাদ বর্তমানে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। তাঁর জামিনের আবেদন জানিয়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে একটি আবেদন দায়ের করেছিলেন তাঁর আইনজীবীর। তার ভিত্তিতে শনিবার এই মামলার শুনানির সময় ওই কাশ্মীরি কবি ও সাংবাদিক আহমেদ ফারহাদকে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয় শাহবাজ শরিফের সরকারকে।
সেই মামলার শুনানির সময় পাকিস্তানের অ্যাডিশনাল অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে জানান যে কাশ্মীর পণ্ডিত ও সাংবাদিক আহমেদ ফারহাদ শাহ বর্তমানে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। তাই তাঁকে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে হাজির করা যাবে না। কারণ পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর হল একটি বিদেশি জায়গা। তাই এটা পাকিস্তানের জুরিসডিকশেন আসে না। কিন্তু সেই জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে আদালত প্রশ্ন তোলে— ‘‘যদি তা বিদেশ ভূখণ্ডই হবে তো কোন অধিকারে সেখানে প্রবেশ করে পাক সেনা এবং রেঞ্জার্স বাহিনী শিবির বানায়? কোন অধিকারে বিদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করে?’’
প্রসঙ্গত, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের পাশাপাশি ব্রিটিশ জমানায় ‘রাজন্যশাসিত রাজ্য’ জম্মু ও কাশ্মীরের অংশ ছিল কারাকোরাম পর্বত ঘেরা গিলগিট-বালটিস্তান। পাকিস্তান ১৯৪৮ সালে জম্মু ও কাশ্মীর উপত্যকার কিছু অংশের পাশাপাশি ওই অঞ্চলটিও দখল করে। কিন্তু গিলগিট-বালটিস্তানকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাজধানী মুজফ্ফরাবাদের নিয়ন্ত্রণে না এনে ‘ফেডেরালি অ্যাডমিনিস্টারড নর্দার্ন এরিয়া’ নাম দিয়ে সরাসরি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। নয়া নামকরণের পরে ২০০৯ সালে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণে প্রথম স্থানীয় আইনসভার ভোট হয় গিলগিট-বালটিস্তানে।