ভালো নেই ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ (96) ৷ তাঁর শারীরিক অবস্থা এতোটাই সঙ্কটজনক যে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন চিকিৎসকরা (Doctors concerned over health of Queen Elizabeth II) ৷ বাকিংহ্যাম প্যালেস (Buckingham Palace) সূত্রে খবর তেমনটাই ৷ বাসভবনেই চিকিৎসকদের কড়া পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি৷ তাঁকে এখন ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ পাশাপাশি, পরিবার-পরিজনকে খবর পাঠাতেও নির্দেশ দিয়েছেন রাজপরিবারের চিকিৎসক৷
৯৬ বছরের রানি এলিজাবেথ ইংল্যান্ডের অন্যতম দীর্ঘ সময়ের জন্য দায়িত্বে থাকা শাসক৷ গত বছর অক্টোবর মাস থেকে তিনি নানারকম শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন নিয়মিত৷ তাঁরা দাঁড়াতে কষ্ট হচ্ছে পাশাপাশি চলতেও পারছেন না৷ ১৯৫২ সালে রাজা জর্জের পর ইংল্যান্ডের রাজ পরিবারের শীর্ষে বসেছিলেন রানি এলিজাবেথ৷ তিনি সম্প্রতি উদযাপন করেছেন তাঁর রাজত্বকালের ৭০ তম বর্ষ৷
আরও পড়ুন: Thailand Fire: নাইট ক্লাব যেন জতুগৃহ! ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১৩, আহত কমপক্ষে ৪১ জন
ইতিমধ্যে রানিকে দেখতে তাঁর চার পুত্র সন্তান প্রিন্স চার্লস, প্রিন্স অ্যানা, প্রিন্স অ্যান্ড্রু ও প্রিন এডওয়ার্ড রওনা দিয়েছেন বলে খবর৷ বুধবার একটি বৈঠক ছিল তাঁর, সেটিও বাতিল করা হয়েছে৷ বাকিংহ্যাম প্যালেসের পক্ষ থেকে যে বিবৃতি জারি করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, চিকিৎসকরা রানির স্বাস্থ্যের অবস্থার কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তাঁকে পূর্ণ মাত্রায় চিকিৎসকের নজরদারিতে থাকতে বলা হয়েছে৷
বাকিংহ্যাম প্যালেস থেকে বিবৃতি মারফৎ এদিন বলা হয়, “আজ সকালে মূল্যায়ণের পর চিকিৎসকরা রানির শারীরিক অবস্থা নিয়ে ভীষণই উদ্বিগ্ন ৷ একইসঙ্গে তারা রানিকে পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন ৷” যদিও রানির শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতরেও ৷ লিজ ট্রাস টুইটে লেখেন, “বাকিংহ্যাম প্যালেস থেকে পাওয়া খবরে পুরো দেশ ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন ৷” যুক্তরাজ্যের মানুষকে এমন কঠিন সময় রানির পরিবারের পাশে থাকারও অনুরোধ জানিয়েছেন ট্রাস ৷
বুধবারের প্রিভি কাউন্সিলের বৈঠকে ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার কথা ছিল লিজ ট্রাসের। তার সঙ্গে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদেরও শপথগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। এই প্রসঙ্গে বাকিংহাম প্রাসাদের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, চিকিৎসকদের পরামর্শে বিশ্রামে রয়েছেন রানি। তাই সেটি আপাতত বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Mohenjodaro: সলিল সমাধি ঘটল মহেঞ্জোদারোর, পাকিস্তানের বন্যায় তলিয়ে গেল ইতিহাস