দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় ব্যাপক অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যেই বুধবার নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন রনিল বিক্রমাসিংহে। গোটাবায়া রাজাপক্ষ পদত্যাগ করার পর রনিল বিক্রমাসিংহে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। নির্বাচনের সরকারি ফলাফলে দেখা গিয়েছে বিক্রমাসিংহে ১৩৪ টি ভোট পেয়েছেন। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দুল্লাস আলাহাপেরুমা পেয়েছেন ৮২ এবং বামপন্থী ফ্রন্টের অনুরা দিসানায়েক পেয়েছেন মাত্র তিনটি ভোট। ছয় বারের প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহেকে সমর্থন জুগিয়েছেন রাজাপক্ষের SLPP। সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ এই দলই, মোট সদস্য ২২৫।
১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা পাওয়ার পর থেকে শ্রীলঙ্কা এযাবৎকালে এতবড় আর্থিক বিপন্নতা দেখেনি। আর্থিক সংকট ডেকে এনেছে রাজনৈতিক বিপর্যয়কে। এসবের মাঝে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতবায়া রাজাপাকসে। আর বুধবার ছিল সেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পর্ব। বৃহস্পতিবার শ্রীলংকার অষ্টম প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রথম রাউন্ডে জয় Rishi Sunak-এর, প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী পাওয়ার পথে ব্রিটেন
রনিল এর আগে সংকটকীর্ণ শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী পদে যোগ দিয়েও দেশের বিপর্যয়ের মুখে পদত্যাগ করেন। তার আগে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রীলঙ্কাবাসীরা। তাঁরা হামলা চালান রনিলের বাসভবনে। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে রনিল ইস্তফা দেওয়ার পরও শ্রীলঙ্কাবাসীর ক্ষোভ ফেটে পড়ে। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ঢুকে মত্ত জনতা ভেঙে ফেলে ১২৫ বছরের পুরনো পিয়ানো। তছনছ হয় চার হাজার বই। এরপর নতুন করে রনিল পেলেন রাষ্ট্রপতির পদ।
প্রশ্ন উঠছে রনিলের নেতৃত্বে শ্রীলঙ্কা কী ফের নতুন সূর্য দেখতে পাবে? যদিও ৭৩ বছর বয়সী নয়া রাষ্ট্রপতিকেও ঘৃণাই করেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্রমাসিংহেকে রাজাপক্ষের মিত্র হিসাবেই দেখেন জনগণ এবং প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তাঁর পদত্যাগও দাবি করেছিলেন বিক্ষোভকারীরা। মিত্রশক্তির বিশ্বাস, বিক্রমাসিংহে এই প্রতিবাদ কঠোরভাবেই দমন করবেন। যদিও শপথ নেওয়ার পর বিক্রমাসিংহে বলেন, ‘আমি রাজাপক্ষের বন্ধু নই, আমি এদেশের মানুষের বন্ধু। ‘
আরও পড়ুন: Rishi Sunak: ঋষি সুনাক বনাম লিজ ট্রাস, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার শেষ দৌড়ে এখন দু’জন