দেশে থাকবে না আর একটাও ইঁদুর (Rats)। ২০৫০ সালের মধ্যে নির্মূল করতে হবে সব। এই লক্ষ্যমাত্রা নিয়েই নিউজিল্যান্ডে (New Zealand) ইঁদুর নিধন যজ্ঞ চালাচ্ছে একাধিক পরিবেশপ্রেমী সংগঠন। কিন্তু, যত রাগ সব কেন ইঁদুরের উপর? সূত্রের খবর, নিউজিল্যান্ডে শিকারি ইঁদুরের দাপটে টালমাটাল অবস্থা পাখিদের। কয়েক বছর আগেও যে সমস্ত পাখিদের সহজেই দেখা মিলত তারা এখন বিরল প্রজাতির থাতায়। শুধু পাখি নয়, বহু ছোটোখাটো নিরিহ বন্যপ্রাণীরই প্রাণ সংশয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলির মতে শিকারি ইঁদুরের কবলে পড়েই শেষ হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার পাখি। নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য।কিন্তু প্রশ্ন হলে সব ইঁদুর মেরে ফেললেও তো একইভাবে নষ্ট হবে প্রাকৃতিক ভারসাম্য।তার কি হবে !
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইঁদুর এবং অন্যান্য শিকারি প্রাণী নির্মূল করা শুধু মিরামার নয়, পুরো নিউজিল্যান্ডের লক্ষ্য। সরকারের আশা, ২০৫০ সালের মধ্যে কাজটি শেষ হবে। ২০১১ সালে পদার্থবিদ স্যার পল ক্যালাগান একটি শিকারিমুক্ত দেশের স্বপ্নকে জনপ্রিয় করেছিলেন। তরুণ সংরক্ষণবাদীরা বলেছিলেন, পর্যাপ্ত বিনিয়োগ ও সহায়তা পেলে এটি করা যেতে পারে।২০১৬ সালে আইন করে সবচেয়ে খারাপ শিকারি চিহ্নিত করা হলো। এর মধ্যে রয়েছে তিন ধরনের ইঁদুর (প্যাসিফিক ইঁদুর, জাহাজের ইঁদুর, নরওয়ের ইঁদুর), মুস্টেলিড (স্টোটস, উইসেল, ফেরেট) এবং পোসাম।
এর আগে বন্য বিড়ালের বংশবিস্তার রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে নিউজিল্যান্ড। বন্য বিড়াল স্থানীয় অনেক প্রাণী এবং দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য বড় ধরনের হুমকি হয়ে উঠেছে। নিউজিল্যান্ডের দ্য রয়াল ফরেস্ট অ্যান্ড বার্ড প্রোটেকশন সোসাইটির হিসাব অনুযায়ী দেশটিতে প্রতিবছর শুধু বন্য বিড়াল ১১ লাখের বেশি দেশীয় পাখি হত্যা করে।