প্রথমে পাশে দাঁড়ালেও পরে অবস্থান বদল ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের। সরিয়ে দিলন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যকে, সূত্রের খবর তেমনটাই। সুয়েলার জায়গায় ওই পদে নিয়ে আসা হয়েছে জেমস ক্লেভারলিকে।
লন্ডন পুলিশের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিন সমর্থকদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখানোর অভিযোগ তুলেছেন সুয়েলা। একটি প্রতিবেদনে সে কথা লিখেছিলেন। প্রথমে সুনক তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর দফতর বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, সুয়েলার উপর ‘পূর্ণ আস্থা রয়েছে’ সুনকের। তবে তিনি তাঁর মন্তব্যকে সমর্থন করেন না। বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সুয়েলাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে মন্ত্রিসভায় কম গুরুত্বপূর্ণ পদে বসার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সূত্রের খবর, সেই প্রস্তাব মানেননি সুয়েলা।
নিজের বক্তব্যের জন্য সে দেশে ব্যাপক চর্চার মুখে পড়েন খোদ সুয়েলাও। সুয়েলার সমালোচনা শুরু হয় দেশ জুড়ে। সমালোচকরা বলেন, সুয়েলার অবস্থানের জেরে দেশে হিংসা বাড়তে পারে। সুয়েলার অবস্থান উস্কানিমূলক বলেও মন্তব্য করা হয়। বারবার সুয়েলাকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর বিষয়ে সুনক সরকারের উপর চাপ আসে। সোমবার জানা যায়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এবার থেকে সুয়েলার পদের দায়িত্ব সামলাবেন জেমস ক্লেভারলি।
পুলিশের সমালোচনাই প্রথম নয়। এর আগে, প্রতিবাদ, উদ্বাস্তু ইস্যু সমেত একাধিক ইস্যুতে সুয়েলার অবস্থান বিপাকে ফেলেছিল সুনক সরকারকে। উল্লেখ্য, বছর ঘুরলেই ব্রিটেনে ভোট। কার্যত অগ্নিপরীক্ষার মুখে পড়তে চলেছেন ঋষি সুনক। ব্রিটেনের রাজনৈতিক আঙিনায় ক্রমাগত কনসারভেটিভরা পিছিয়ে পড়তে শুরু করেছেন। সেই জায়গা থেকে পরের বছর আসন্ন ব্রিটেনের নির্বাচপে বেশ ব্যাকফুটে সুনক বাহিনী বলে মনে করা হচ্ছে।
ফলে ঋষি সুনক ভোটারদের মনে জায়গা পেতে আপাতত মরিয়া। এরই মাঝে কনসারভেটিভ পার্টির দক্ষিণপন্থীদের অন্যতম মুখ হয়ে উঠছিলেন সুয়েলা। যিনি নিজে উদ্বাস্তপদের বিপক্ষেই বক্তব্য রাখতে শুরু করেন। তবে ক্রমাগত তিনি প্রতিবাদে ঘিরে যেতে শুরু করা অস্বস্তি বাড়ে সুনক শিবিরে। এরপরই তাঁকে ছাঁটাই করা হল পদ থেকে।