গুলিবিদ্ধ স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, তাঁকে চারবার গুলি করা হয়েছে।
স্লোভাকিয়ার জনতাবাদী প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো বুধবার রাজধানী থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে হ্যান্ডলোভাতে মিটিংয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে মিটিং সেরে বেরোনোর পরই তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। তাঁকে লক্ষ্য করে চারটি গুলি করা হয়। একটি গুলি সরাসরি আঘাত হেনেছে তাঁর পাকস্থলীতে। সঙ্কটজনক অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে তাঁকে।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ‘সন্দেহভাজন আততায়ী’কে গ্রেফতার করেছে বলে প্রকাশিত সংবাদে দাবি।এক প্রত্যক্ষদর্শী পরপর চারবার গুলির আওয়াজ পান। পাশাপাশি তিনিই এক ব্যক্তিকে ঘাড় ধরে পুলিশের গাড়িতে ঢোকানো হচ্ছে বলে দেখেছেন। মনে করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তিই আততায়ী। গুলির ঘটনাটি স্থানীয় হাউস অফ কালচারের সামনে ঘটে। যেখানে ফিকোর তাঁর সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল। ঘটনার পরই গোটা এলাকা পুলিশ ঘিরে রেখেছে।
গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন সেদেশের প্রেসিডেন্ট জুজানা কাপুতোভা। এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোর উপর আজকের নৃশংস হামলায় সম্পূর্ণভাবে মর্মাহত। গোটা ঘটনার আমি জোরালো ভাষায় নিন্দা জানাই। আমি এই সংকটময় মুহূর্তে তাঁকে অনেক শক্তি এবং দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। আমার চিন্তাভাবনা তাঁর পরিবার এবং ঘনিষ্ঠদের সাথেও রয়েছে।’ এদিকে এই ঘটনার জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য সংসদের অধিবেশন স্থগিত রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ দিন পরে ইউরোপে কোনও রাষ্ট্রনেতা এমন প্রাণঘাতী হামলার শিকার হলেন। ১৯৮৬ সালে সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী ওলফ পালমেকে রাজধানী স্টকহলমের রাস্তায় গুলি করে খুন করা হয়েছিল। ২০২২ সালের জুলাই মাসে জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে একটি জনসভার মঞ্চে গুলি করে খুন করা হয়েছিল।