উত্তর ইউক্রেন ও কিয়েভের কাছে হামলা দ্রুত কমিয়ে ফেলতে চায় রাশিয়া। দু’দেশের মধ্যে সমঝোতাকারীদের সূত্রে এমনটাই খবর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে। আগামিকাল তুরস্কে রুশ-ইউক্রেন আলোচানার পরই ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে পারে রাশিয়া। এমনটাই দাবি সমঝোতাকারীদের। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি এবার যুদ্ধ থামাতে চাইছে রাশিয়া?
মঙ্গলবারই ইস্তানবুলে ইউক্রেন এবং রাশিয়ান কূটনীতিকদের মধ্যে আলোচনায় সমাধান সূত্রে হচ্ছে বলে আভাস দেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু। ইউক্রেনের তরফে বলা হয় ইস্তানবুল এই বৈঠকের পর আবার এক দফা আলোচনায় বসতে পারেন জেলেনস্কি ও পুতিন। মঙ্গলবারই অন্য দিকে হোয়াইট হাউস জানাচ্ছে, মঙ্গলবার ইউরোপের রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেন নিয়ে ফোনে আলোচনা করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
আরও পড়ুন: ১৩৩ জন যাত্রী নিয়ে ভেঙে পড়ল চিনা বিমান, হতাহতের সংখ্যা এখনও অজানা
এই আলোচনায় বেশ কিছু শর্ত দিয়েছে উভয় পক্ষ। রাশিয়ার ডেপুটি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলেকজেন্ডার ফোমিন সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘ইউক্রেন পরমাণু শক্তি অর্জন করার চেষ্টা করবে না, ন্যাটোয় যোগ না দিয়ে নিরপেক্ষতা বজায় রাখবে এমন শর্তে কিয়েভের কাছাকাছি অঞ্চল ও চেরনিগিভে সেনা তত্পরতা কম করে দেবে রাশিয়া।’ দুদেশের মধ্যে সমঝোতাকারী ভ্লাদিমির মেডিনেসস্কি বলেন, ইউক্রেনের শর্তও প্রেসিডেন্ট পুতিনার কাছে রাখা হবে।
রাশিয়া-ইউক্রেন আলোচনায় সমাধানের সূত্র বেরতেই তেলের দাম ৫ শতাংশের বেশি কমে গিয়েছে। বাজারও চাঙ্গা হয়েছে। এদিকে ইউক্রেন একটি আন্তর্জাতিক চুক্তির আহ্বান জানিয়েছে যার অধীনে অন্যান্য দেশ তার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পাবে।
আরও পড়ুন: Imran Khan: অনাস্থা প্রস্তাব ঘিরে ভোটাভুটি রবিবার, জানালেন পাক মন্ত্রী