ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদেমির জেলেনস্কি রুশ নাগরিকদের কাছে যুদ্ধবিরোধী দাবি তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর মতে, যুদ্ধের ফলে দারিদ্র ও সঙ্কট তৈরি হবে। তাতে দুই দেশই প্রভাবিত হবে। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের আবেদন সত্ত্বেও রাশিয়া কিন্তু এখনও তার অবস্থান থেকে বিশেষ সরছে না। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অবশ্য এখনও হুঁশিয়ারি বজায় রেখেছেন। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, সব শর্ত যখন পূরণ হবে তখনই ইউক্রেনে সামরিক অভিযান বন্ধ হবে।
রবিবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ানকে টেলিফোন বার্তায় রুশ প্রেসিডেন্ট জানান, ইউক্রেনের তরফে আলোচনার লক্ষ্য আরও গঠনমূলক হওয়া উচিত। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, পুতিন এও বলেছেন, পরিকল্পনা অনুযায়ীই ইউক্রেনে ‘বিশেষ অপারেশন’ চালাচ্ছে রাশিয়া। অন্য দিকে, রাশিয়ায় যুদ্ধবিরোধী আন্দোলন করায় হাজারের বেশি প্রতিবাদীকে আটক করা হয়েছে। এঁরা সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন যুদ্ধবিরোধী পোস্ট এবং ভিডিয়ো পোস্ট করতেন বলে জানিয়েছে রাশিয়ার একটি সংবাদ সংস্থা।
এদিকে গোটা পৃথিবী জুড়েই যুদ্ধ বিরোধী স্লোগান উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই শান্তির পক্ষে স্লোগান দিচ্ছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টও রাশিয়ার সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্য়ে জানিয়েছেন, এই আন্দোলন শুধু ইউক্রেনের শান্তির জন্য নয়। এটা আপনাদের দেশের জন্যও লড়াই। এখনও যদি আপনারা নীরব থাকেন, পরে শুধু দারিদ্রই কথা বলবে। আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তবে সূত্রের খবর,যুদ্ধবিরোধী আন্দোলনে শামিল হওয়ার অভিযোগে ইতিমধ্য়েই রাশিয়ায় হাজারখানেক প্রতিবাদীকে আটক করা হয়েছে। মূলত দেশের মধ্যে যাতে যুদ্ধবিরোধী দাবি না ওঠে সেই নিরিখে আগেই ব্যবস্থা নিচ্ছে রাশিয়া।