প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল করে দিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী ইউনুস সরকার। যার ফলে এর পর মুজিবকন্যা আদৌ বাংলাদেশে ফিরতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়ে গেল। শুধু তাই নয়, ভারতের বাইরে হাসিনা অন্য কোনও দেশে আশ্রয় নিতে চাইলেও সমস্যায় পড়তে হবে তাঁকে।
ঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ–প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, ‘গুম ও হত্যার সঙ্গে জড়িত ২২ জন এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত ৭৫ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও রয়েছেন।’ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিলের বিষয়ে ভারতকে জানানো হয়েছে কি না; এই প্রশ্নের জবাবে উপ–প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার বলেন, তাঁর যে (শেখ হাসিনা) পাসপোর্ট বাতিল হয়েছে, এটা কিন্তু ভারত সরকারও জানে এবং ভারত সরকার থেকে ইতিমধ্যে বলা হয়েছে, তাঁকে ট্রাভেল ডকুমেন্ট ইস্যু করা হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা হারিয়ে দেশ ছেড়েছেন। আপাতত ভারতে থাকলেও এখনও পর্যন্ত ‘কূটনৈতিক’ আশ্রয় পাননি তিনি। এ নিয়ে সংসদে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রকে। সরকার অবশ্য এখনও হাসিনার অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা বজায় রেখেছে। মুজিবকন্যাকে ফেরত চেয়ে ইতিমধ্যেই ভারতের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। হাসিনার বিরুদ্ধে জারি হয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও।
এর পর পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত আসলে ভারতের উপর চাপ বাড়ানোরই কৌশল। ক্ষমতা হারানোর পর থেকেই ভারতের আশ্রয়ে রয়েছেন মুজিবকন্যা। পাসপোর্ট বাতিল হয়ে যাওয়ায় আগামী দিনে ভারত থেকে অন্য কোনও দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাঁধার সম্মুখীন হবেন তিনি। এমনকী, পাসপোর্ট বাতিল হওয়ার ফলে আপাতত তাঁর ভারতে থাকাও আইনত বৈধ নয়। প্রসঙ্গত, হাসিনা ভারতে চলে আসার কিছুদিনের মধ্যেই তাঁর ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্টটি অকেজো ঘোষণা করা হয়েছিল।