২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর বলা হতো, শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের প্রতীক। কিন্তু, ২০২৪ সালের টানা কয়েক সপ্তাহের ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভের মুখে তার পতন হয়। ৪৫ মিনিটের নোটিশে দেশ ছেড়ে পালাতে হয় স্বৈরশাসকের তকমা নিয়ে। অথচ, এর আগে দেশে তার সিদ্ধান্তই ছিল এক প্রকার শেষ কথা। পালানোর আগে শেখ হাসিনার হাতে অল্প এত সময় ছিল, সঙ্গে নিতে পারেননি তেমন কিছুই। নিয়েছেন কেবল দুটি স্যুটকেস।
সংবাদমাধ্যম ‘এনডিটিভি ইন্ডিয়া’ এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানাচ্ছে, হাসিনা দু’টি স্যুটকেস নিয়ে বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন। এ ছাড়া আর কিছুই সঙ্গে আনতে পারেননি তিনি। ওই স্যুটকেসগুলিতে ছিল কিছু পোশাক ও জরুরি নথিপত্র। বাংলাদেশের রাজনীতিতে অন্যতম চর্চিত, আলোচিত ও সমালোচিত মুখ হাসিনা। মুজিবর-কন্যা হাসিনার সম্পত্তির পরিমাণ কত, সেই হিসাবনিকেশও তুলে ধরা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। চলতি বছরের বাংলাদেশের ভোটের আগে সে দেশের নির্বাচন কমিশনকে সম্পত্তির হিসাব দিয়েছিলেন হাসিনা। ‘এনডিটিভি ইন্ডিয়া’র ওই প্রতিবেদনে প্রকাশ, নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হিসাব অনুযায়ী হাসিনার চার কোটি ৩৬ লাখ টাকার (বাংলাদেশি মুদ্রায়) সম্পত্তি রয়েছে। ভারতীয় মুদ্রায় হিসাব তিন কোটি ১৪ লাখ টাকা।
এনডিটিভি জানিয়েছে, কোনো কোনো সূত্রের দাবি শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়ে থাকতে পারে। যদিও সরকারিভাবে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে হাসিনা দেশ ছাড়ার পর দিনই রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ভেঙে দেন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ। চলতি বছরের শুরুর দিকেই বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন ছিল। টানা চতুর্থ বার জয়ী হয়েছিল হাসিনার দল।