আর্থিক সংকটে ধুঁকতে থাকা শ্রীলঙ্কা জুড়ে সাধারণ মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভে নামছেন তাঁরা। সেই বিক্ষোভ দমাতে এ বার দেশ জুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে দিলেন প্রেসিডেন্ট গাতাবোয়া রাজাপক্ষে। শ্রীলঙ্কার সংবাদপত্র ‘ডেলি মিরর’-কে উদ্ধৃত করে এমনই জানাল সংবাদ সংস্থা এএনআই। জরুরি অবস্থার ঘোষণার পাশাপাশি শ্রীলঙ্কায় কড়া আইন কার্যকর করেছেন গোতাবায়া, যে আইনের আওতায় বিচার ছাড়াই যে কোনও ‘সন্দেহভাজন’ ব্যক্তিকে দীর্ঘদিন আটকে বা গ্রেফতার করে রাখার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে সেনাকে।
গত এক সপ্তাহ ধরে ভয়ানক অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখে শ্রীলঙ্কা। দেশে জ্বালানির হাহাকার। প্রায় বন্ধ পরিবহণ। খরচ বাঁচাতে ১০-১৩ ঘণ্টা লোডশেডিং করা হচ্ছে দেশ জুড়ে। এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সন্ধেয় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন কলম্বোর মানুষ। ১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে এতটা ভয়ঙ্কর অবস্থার মুখে পড়তে হয়নি ২.২ কোটি জনসংখ্যা বিশিষ্ট দেশকে।
আরও পড়ুন: হিজাব পরিহিত মহিলাকে ঢুকতে বাধা, গেরুয়া মনোভাবের জেরে মধ্যপ্রাচ্যে বন্ধ হল ভারতীয় রেস্তোরাঁ
বৃহস্পতিবার রাতে পরিস্থিতি কার্যত রাজাপক্ষে সরকারের হাতের বাইরে চলে যায়। পদত্যাগের দাবিতে হাজার-হাজার মানুষ শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান। যা পরবর্তীতে হিংসাত্মক রূপ নেয়। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষও বাধে বিক্ষোভকারীদের। পরিস্থতি সামাল দিতে প্রাথমিক ভাবে ব্যর্থ হয় পুলিশ। বিক্ষোভ ঠেকাতে বিশেষ টাস্ক ফোর্সকে ডাকতে বাধ্য হয় প্রশাসন।
এ প্রসঙ্গে রাজাপক্ষে জানিয়েছেন, তিনি বিশ্বাস করেন, এমন পরিস্থিতিতে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা প্রয়োজন। কারণ তাঁর কাছে বিক্ষোভ দমানোই এখন গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেছেন, অশান্তির আগুনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে, গ্রেফতার এবং সন্দেহভাজনদের আটক করতে এই কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: Imran Khan: ইস্তফা দিচ্ছি না জানিয়ে আমেরিকা ও ভারতকে একহাত নিলেন ইমরান