সঙ্গ ছেড়েছে জোটসঙ্গীরা। হাত ছেড়ে দিয়েছেন নিজেদের দলেরই কমপক্ষে ১২ জন ‘বিদ্রোহী’ সাংসদ। তার জেরে সংসদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল মাহিন্দ্রা রাজাপক্ষের সরকার। অর্থাৎ আপাতত যা পরিস্থিতি, তাতে এবার রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষকে ২২৫ আসন বিশিষ্ট শ্রীলঙ্কার সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য অন্য দলকে আহ্বান জানাতে হবে।
এই পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের (ঘটনাচক্রে যিনি প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দার ভাই) কাছে বিরোধীদের একাংশ দাবি জানিয়েছে, অবিলম্বে পার্লামেন্টের অধিবেশনে সরকারকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে। পাশাপাশি, গোতাবায়ার ইস্তফা এবং আর্থিক সঙ্কটের মোকাবিলায় ‘জাতীয় সরকার’ গড়ার দাবিও উঠছে। সে দেশের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও রাজপক্ষে পরিবারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: Russia-Ukraine War: কামাল করল তুরস্কই! সেনা অভিযান থেকে সরছে রাশিয়া
রবিবার গভীর রাতে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার কাছে একসঙ্গে ইস্তফা পত্র জমা দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার ২৬ জন মন্ত্রী। এর পর সোমবার অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে গোতাবায়া তাঁর আর এক ভাই বাসিলকে অপসারিত করেন। দায়িত্ব দেওয়া হয় আলি সাব্রেকে। কিন্তু মঙ্গলবার ইস্তফা দিয়েছেন সাব্রে। জানিয়েছেন, বর্তমান সরকারের পক্ষে দেশকে আর্থিক সঙ্কট থেকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব নয়। ইস্তফা দিয়েছেন পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার রজিথ সিয়ামবালাপিতিয়াও।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রের শাসকজোট ‘শ্রীলঙ্কা পিপল্স ফ্রিডম অ্যালায়েন্স’-এর নেতা তথা মন্ত্রী উদয় গাম্মনপিলা মঙ্গলবার রাজাপক্ষে ভাইদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘মন্ত্রিসভার রদবদল করে আর্থিক বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হবে না।’’
অস্থিরতার এই আবহে আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার (আইএমএফ) জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, আইএমএফ থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য রাজাপক্ষে সরকারের পদক্ষেপের বিরোধিতা করে সোমবার শ্রীলঙ্কার সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের গভর্নর অজিত নেভার্ড সেব্রাল ইস্তফা দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: Imran Khan: ইমরান খান পাক প্রধানমন্ত্রী নন, বিজ্ঞপ্তি জারি ক্যাবিনেট সচিবালয়ের